মরক্কোর একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রথমবারের কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে সিনাগগ চালু হয়েছে। কেবল তাই নয়, সদ্য নির্মিত একটি মসজিদের পাশেই প্রথমবারের মতো সিনাগগ নির্মিত হলো। কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ধর্মীয় ঐক্যের প্রতীক হিসেবে দুটি ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ‘স্রেফ একটি প্রাচীর’ রয়েছে।
মাইমুনা অ্যাসোসিয়েশন ও আমেরিকান সেফারদি ফেডারেশন যৌথভাবে মারাকেশে ষষ্ট মোহাম্মদ পলিটেকটিক বিশ্ববিদ্যালয়ে সিনাগগটি চালু করে।
মাইমুনার প্রতিষ্ঠাতা ও সভাপতি এলমেহদি বাদ্রা দি মিডিয়া লাইনকে বলেন, এটি বড় কোনো সিনাগগ নয়। তবে এতে একটি মাইনিয়ান [ইহুদি প্রার্থনার জামাত হতে প্রয়োজনীয় ১০ জনের কোরাম], তাওরাত স্ক্রল, ফেস ও মারাকেশের ইহুদি সম্প্রদায়ের দেয়া সব ধর্মীয় সম্ভার’ রয়েছে।
তিনি বলেন, ‘মরক্কোর ইহুদি ধর্ম ২০০০ বছর ধরে মরক্কোর সমাজের অংশ হিসেবে বিরাজ করছে। মরক্কো একই সাথে ইহুদি ভূমিও। আমরা মরক্কোর বৈচিত্র্যময় ঐতিহ্যকে উদযাপন করি।’
জিউশ কাউন্সিল অব দি ইমিরাটসের সিনিয়র রাব্বি ইলি আবাদাই মঙ্গলবার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে হাজির ছিলেন। তিনি বলেন, মরক্কোর একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে সিনাগগ চালু একটি তাৎপর্যপূর্ণ ঘটনা। বিশেষ করে মহামান্য বাদশাহর নামে প্রতিষ্ঠিত বিশ্ববিদ্যায়ে এর উপস্থিতি বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ।
মরক্কো ও ইসরাইল ২০২০ সালে কূটনৈতিক সম্পর্ক চালু করে। আলজেরিয়া-সমর্থিত পলিসারিও ফ্রন্টের সাথে পশ্চিম সাহারা নিয়ে বিতর্কের প্রেক্ষাপটে এই মরুভূমির ওপর মরক্কোর সার্বভৌমত্বের প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থনের অংশ হিসেবে এই সম্পর্ক চালু হয়।
২০২০ সালের ডিসেম্বরে ‘আব্রাহাম অ্যাকর্ড’ কাঠামোর আলোকে দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক আরো জোরদার হয়।
সূত্র : মিডল ইস্ট মনিটর