আমাদের চার বন্ধু আমি নাসরিন রাখী, শরীফ সোহেল, মুক্তি পিয়াসি ওজান্নাতুল ফেরদৌসের কবিতা স্থান পেয়েছে
এই বইটি তে। তার মধ্যে আমার চৌদ্দটি কবিতা আছে।
আমরা বন্ধুরা কম বেশি সবাই ভালোলাগা
থেকে কবিতা লিখতাম বিভিন্ন গ্রুপে এবং
পার্সোনাল আইডিতে।
সেখানে অনেকে আমাদের কবিতাগুলো খুব পছন্দ করতো এবং বই আকারে বের করার জন্য উৎসাহ দিতো।
ঐ উৎসহ থেকেই হঠাৎ করে মনে হলো বন্ধুরা মিলে কিছু কবিতা দিয়ে একটা বই বের করি।
যেমন কথা তেমন কাজ। কিছুদিনের মধ্যে বের করা হলো আমাদের কবিতার বই ‘ধ্রুপদী মায়া’।
আমার কবিতা গুলো মন্ময় কবিতা।
মনে মনে কথা বলা আর সেগুলো গুছিয়ে ভাষার অলংকারে সজ্জিত করে লিখে রাখা হয়,কবিতার আকারে।
যখন আমারা একা একা থাকি তখন,একের সাথে অন্যের যতটা না কথা হয়, তার থেকে অনেক বেশি কথা বলা হয়
মনে মনে, মনের সাথে মনের।আর সেই কথাগুলোর সাথে কিছু কথা মিলিয়ে সুন্দর করে লিখনির মাধ্যমে গুছিয়ে
রাখা হয় এসব কবিতায়।
আনেকে মনে করেন কবিতায় যা লেখা হয় তা কবির নিজের জীবনের ঘটনা। কিন্তু আমার মনে হয় এই ধারনা ভুল।তবে এটা ঠিক যে যতো স্বপ্নে বিচরণ করতে পারে সে ততো ভালো লিখতে পারে।আবার অনেক সময় একটা শব্দের ভালোলাগা থেকে লেখা শুরু হয়, কিন্তু শেষ পর্যন্ত কবিতা কোথায় শেষ হবে তা কবি নিজেও বলতে পারে না।তাই শতভাগ মন্ময় কবিতা কখনোই রচনা হয় না।
প্রত্যেকটা লেখকের লেখার ধরন ভিন্ন।তাই কবিতাও ভিন্ন রকমের হয়। আমাদের লেখার ধরন ও চার জানার চার রকমের। তাই আমি এটা বলতে পারি, আমাদের কবিতা
পড়ে পাঠকের একঘেয়ে লাগবে না।
আসুন আমরা সবাই বই পড়ি ও অন্যকে
উপহার দিয়ে পড়তে উৎসাহিত করি।
——
বিশেষ বার্তা সংগ্রহে
লায়ন দিদার সরদার
প্রকাশক – সম্পাদক সময়ের কণ্ঠধ্বনি