বলিউড ভাইজান সালমান খানকে হত্যার হুমকি ও বাড়িতে হামলার ঘটনায় মুম্বাই পুলিশের ক্রাইম ব্রাঞ্চ চার্জশিট দাখিল করেছে। লরেন্স বিষ্ণুই নামে একটি গ্যাং পার্টি সালমানকে হত্যার চেষ্টা চালিয়েছিল বলে গুঞ্জন ছিল।
সোমবার বিশেষ বিচারক বি ডি শেলকে ছয় অভিযুক্তের বিরুদ্ধে চার্জশিট গ্রহণ করেছেন।
জবানবন্দিতে সালমান বলেন, ‘২০২২ সালে, আমার বাবা বান্দ্রা থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছিলেন। সেই সময় আমার বাবা একটি চিঠি পেয়েছিলেন, যেখানে আমাকে এবং আমার পরিবারকে হুমকি দেওয়া হয়েছিল। এই চিঠিটি আমার অ্যাপার্টমেন্ট বিল্ডিংয়ের অপর পাশের একটি বেঞ্চে রাখা ছিল। ২০২৩ সালের মার্চ মাসে, আমি আমার টিমের একজন কর্মচারীর কাছ থেকে আমার অফিশিয়াল ই-মেইল আইডিতে একটি মেইল পেয়েছি।
বলিউড এ অভিনেতা আরও বলেন, ‘চলতি বছরের জানুয়ারিতে, দুই ব্যক্তি জাল নাম ও পরিচয়পত্র নিয়ে পানভেলে আমার খামারবাড়িতে প্রবেশের চেষ্টা করেছিল। পানভেল তালুকা পুলিশ ওই দুজনের বিরুদ্ধেই মামলা দায়ের করেছে।‘
সালমান খান ঘটনার বিবরণে বলেন, ‘আমি যখন আতশবাজির শব্দ শুনতে পেলাম, তখন আমি ঘুমাচ্ছিলাম। ভোর ৪.৫৫ মিনিটে যখন পুলিশ দেহরক্ষী জানায় যে বাইকে করে আসা দুই ব্যক্তি গ্যালাক্সি অ্যাপার্টমেন্টের প্রথম তলার বারান্দায় বন্দুক থেকে গুলি চালায়। এর আগেও আমাকে ও আমার পরিবারের ক্ষতি করার চেষ্টা করা হয়েছে। আমি জানতে পেরেছি যে, সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে লরেন্স বিষ্ণোই এই হামলার দায় নিয়েছেন। আমি বিশ্বাস করি, লরেন্স বিষ্ণোইয়ের টিম আমার বারান্দায় গুলি চালিয়েছিল। আমি বিশ্বাস করি যে, লরেন্স বিষ্ণোই তার গ্যাং-এর সহযোগীদের সহায়তায় আমার পরিবারের সদস্যরা ঘুমিয়ে থাকা অবস্থায় এই গুলি চালায়। আমাকে এবং আমার পরিবারকে হত্যা করতেই এই হামলা। ’
এর আগে ১৯৯৮ সালে একটি সিনেমার শুটিংয়ে গিয়ে সালমান খান রাজস্থানে একটি কৃষ্ণসার হরিণ শিকার করেন। এদিকে বিষ্ণোই গ্যাং কৃষ্ণসার হরিণকে দেবতারূপে পূজা করে থাকে। এরপর থেকেই সালমান খানকে হত্যা করতে চাইছে বিষ্ণোই গ্যাং। একাধিকবার হুমকির পর শেষ পর্যন্ত তার বাড়িতে গুলি চালানোর ঘটনা ঘটে।