প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেছেন, আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন আমরা শক্ত ভিত্তির ওপর করতে চাই।
রোববার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক আন্দোলনের (এনডিএম) সাথে সংলাপে অংশ নিয়ে সূচনা বক্তব্য সিইসি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, ইতোপূর্বে আমরা বহুবার বলেছি, সকল রাজনৈতিক দল বিশেষত প্রধান দলগুলোর নির্বাচনে অংশ নেওয়া খুবই প্রয়োজন। কোনো দলকে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে অবশ্যই বাধ্য করতে পারবো না। তবে সকল দলকে কার্যকরভাবে অংশগ্রহণ করতে আমরা বারবার আহ্বান করে যাবো। সে প্রচেষ্টা আমাদের অব্যাহত থাকবে।
কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা ও প্রতিযোগিতা না থাকলে জনমতের সঠিক প্রতিফলন হয় না। পক্ষ-প্রতিপক্ষের সক্রিয় অংশগ্রহণে নির্বাচনে সম্ভাব্য অনিয়ম, কারচুপি, দুর্নীতি, অর্থ শক্তির বৈভব, পেশিশক্তির প্রয়োগ ও প্রভাব বহুলাংশে নিয়ন্ত্রিত হতে পারে।
তিনি বলেন, সবার অংশগ্রহণ, সহযোগিতা ও সমর্থন নিয়ে নির্বাচন করতে চায় কমিশন। অন্যথায় অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠানে আমাদের প্রয়াস ব্যর্থতায় পর্যবসিত হতে পারে। সেটি কাম্য নয়।
সিইসি বলেন, আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে রাজনৈতিক পরিমণ্ডলে নানাবিধ আশা, হতাশা ও তর্ক-বিতর্ক চলছে। বিতর্কগুলো নিরসন হওয়া প্রয়োজন।
ইভিএম প্রসঙ্গে প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন, ইভিএম নিয়ে পাঁচ-সাতটি কর্মশালা এবং রাজনৈতিক দল ও বিশেষজ্ঞদের সাথে উন্মুক্ত সভা করা হয়েছে। কেউ কোনো ত্রুটি দেখাতে পারেনি। তারপরেও ইভিএম সম্পর্কে বিভ্রান্তি-সংশয় থেকেই যাচ্ছে।
নির্বাচন কমিশন উদ্বিগ্ন জানিয়ে তিনি বলেন, কেন্দ্রে কেন্দ্রে অনিয়ম, সহিংসতা, ব্যালট পেপার ছিনতাই হলে প্রতিরোধ কতটা সম্ভব হবে। জাতীয় নেতারা আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে সমঝোতা ও মতৈক্য হয়ে বিতর্কিত বিষয়গুলোর নিরসন করে নির্বাচনের অনকূল পরিবেশ ও সমতল ভিত্তি সৃষ্টি করবেন বলেও আশা প্রকাশ করেন তিনি।