আমরা জামায়াত-অজামায়াত কিছুই বুঝি না, আমরা বুঝি প্রার্থী প্রার্থীই, আমরা শুনেছি জামায়াত নির্বাচনে আসবে, তবে দলীয় ভাবে আসার সুযোগ নেই তাদের, বলে মন্তব্য করেছেন নির্বাচন কমিশনার রাশেদা সুলতানা।
রোববার (৩১মার্চ) দুপুরে রংপুর ডিসির সম্মেলন কক্ষে ৬ষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন উপলক্ষে রংপুর বিভাগের সকল ডিসি, এসপি, রিটার্নিং ও সহকারি কর্মকর্তা, ইউএনও এবং আইনশৃংখলা বাহিনীর সাথে মতবিনিময় সভায় সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে একথা বলেন তিনি।
এ সময় রংপুর বিভাগীয় কমিশনার হাবিবুর রহমান, রেঞ্জ ডিআইজি আব্দুল বাতেন, মহানগর পুলিশ কমিশনার মো: মনিরুজ্জামান, আট জেলার ডিসি, এসপি, ইউএনওসহ নির্বাচন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
জামায়াত নির্বাচন করা না করা নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে ইসি রাশেদা বলেন,‘ তারা নির্বাচনে আসবে এ ধরনের কথা আমরা শুনতে পাচ্ছি। তবে সত্য মিথ্যা তারা প্রার্থী দিবেন কিনা। সেটা এখনো স্পষ্ট নয়। তারা নিবন্ধিত দলও না। ওইভাবে নিবন্ধিত দল হিসেবে তারা আসতেও পারবে না।‘
ইসি রাশেদা বলেন,‘ আমরা জামায়াত-অজামায়াত কিছুই বুঝি না। আমরা বুঝি প্রার্থী প্রার্থীই। সব প্রার্থীকেই সমানভাবে আচরণবিধি মান্য করে তাকে কাজ করতে হবে। যিনি আচরণ বিধি মান্য করে চলবেন। তিনি তার সুফল পাবেন। যিনি ভোটারদের আকৃষ্ট করবেন, তিনি তার ফল পাবেন। এখানে বিশেষ আলাদা করে দৃষ্টি দেয়ার মতো পরিস্থিতি নাই।
এ সময় নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার নিয়ম উল্লেখ করে ইসি রাশেদা বলেন, ‘দেখুন একটা দেশের নাগরিক, সে যদি নাগরিকত্ব দেশের বজায় থাকে। সে যদি সাবালক হয়। কোনো ধরনের যদি ব্যত্যয় না থাকে তার প্রার্থী হতে। সে কিন্তু হতে পারে। ওনারা (জামায়াত) আসলে দলীয়ভাবে আসবেন না। কারণ দলীয় তখন তারা হতে পারতেন, যদি ওনারা নিবন্ধিত দল হতেন। নিবন্ধিত দলের প্রার্থীরা যেভাবে আমাদের কাছে মূল্যায়িত হবেন, নিবন্ধিত দলের সবাই সেভাবেই হবেন। যেহেতু ওনারা নিবন্ধিত দলও না, সেকারণে ওভাবে (দলীয়ভাবে) আসার কোনো সুযোগও নাই।’
ইসি রাশেদা বলেন,‘তো ওনারা (জামায়াত) এখন বিচ্ছিন্ন বিচ্ছিন্ন ভাবে কি আসবেন কি আসবেন না, সেটা সময় আসুক ,সময়ের সাথে সাথে সেটা বলা যাবে। আলাদা করে ওনাদেরকে দৃষ্টি দেয়া, এ রকম কোনো কিছু না, সব প্রার্থী যেমন ওনারাও তেমন। কেউ যদি নির্বাচনে আসতে চান আসবেন। ওনারা ওনাদের আচরণ দিয়া জনসাধারণের মন জয় করবেন। ভোট পাবেন, পাবেন না সেটা ওনাদের ব্যাপার। এখানে কমিশনের আলাদা করে ভূমিকা নেয়ার কোনো সুযোগ নাই।’
এ সময় ইসি রাশেদা প্রশাসনের কর্মকর্তাদের নির্বাচন সুষ্ঠু, গ্রহনযোগ্য ও অবাধ করার জন্য প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেন।