মঙ্গলবার, ১১:২১ অপরাহ্ন, ০৭ জানুয়ারী ২০২৫, ২৩শে পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ , ই-পেপার
নোটিশ :
মানব সেবায় নিয়োজিত অলাভজনক সেবা প্রদানকারী সংবাদ তথ্য প্রতিষ্ঠান।

আদালতের বারান্দা থেকে ১৯১১ মামলার নথি গায়েব

সময়ের কণ্ঠধ্বনি ডেস্ক:
  • আপডেট টাইম : সোমবার, ৬ জানুয়ারি, ২০২৫
  • ৩ বার পঠিত

চট্টগ্রাম আদালতের বারান্দায় রাখা ১ হাজার ৯১১টি মামলার নথি (কেস ডকেট বা সিডি) গায়েব হয়ে গেছে। এ ঘটনায় গতকাল রবিবার নগরের কোতোয়ালি থানায় জিডি করেছেন চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ আদালতের সরকারি কৌঁসুলি মফিজুল হক ভুঁইয়া।

গায়েব নথিগুলোর মধ্যে হত্যা, মাদক, চোরাচালান, বিস্ফোরণসহ বিভিন্ন মামলার গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্র রয়েছে। বিচারিক কাজের জন্য এসব নথি খুবই গুরুত্বপূর্ণ এবং এসব নথি না থাকলে আসামির বিরুদ্ধে অপরাধ প্রমাণ করা কঠিন হবে বলে জানিয়েছেন আইনজীবীরা।

জিডিতে উল্লেখ করা হয়েছে, ‘চট্টগ্রাম মহানগর আদালতের পিপি কার্যালয়ে ২৮ থেকে ৩০টি আদালতের কেস ডকেট রক্ষিত ছিল। পিপি কার্যালয়ে জায়গা-স্বল্পতার কারণে ২০২৩ সালের ২৪ এপ্রিল থেকে পিপি কার্যালয়ের সামনের বারান্দায় প্লাস্টিকের বস্তায় ১ হাজার ৯১১টি মামলার কেস ডকেট পলিথিনে মোড়ানো অবস্থায় রাখা ছিল। আদালতের অবকাশকালীন ছুটির সময় অফিস বন্ধ থাকায় গত ১৩ থেকে ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে নথিগুলো হারিয়ে গেছে। অনেক খোঁজাখুঁজি করেও পাওয়া যায়নি। বিষয়টি থানায় ডায়েরিভুক্ত করে রাখার জন্য আবেদন করা হলো।’

কক্ষে জায়গা না থাকার কারণেই এসব নথি বাইরে রাখতে হয়েছিল বলে দাবি করেছেন সরকারি কৌঁসুলি মফিজুল হক ভুঁইয়া। তিনি জানান, হত্যা, মাদক, চোরাচালান, বিস্ফোরণসহ বিভিন্ন মামলার নথি প্লাস্টিকের বস্তায় করে বারান্দায় রাখা ছিল।

গুরুত্বপূর্ণ মামলার নথিগুলো এত দিন বারান্দায় কেন রাখা হয়েছিল, এমন প্রশ্নের উত্তরে মফিজুল হক ভুঁইয়া বলেন, ‘আমি কিছুদিন হলো দায়িত্ব নিয়েছি। নথিগুলো রাখার জন্য কক্ষ পাওয়া যাচ্ছে না। কক্ষ চাওয়া হয়েছিল। আমার কক্ষটি নথিতে ঠাসা হয়ে আছে।’

এ ব্যাপারে কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল করিম জানান, মহানগর পিপির কার্যালয়ের সামনে রাখা ১ হাজার ৯১১ মামলার নথি হারানোর ঘটনায় করা জিডির বিষয়ে তদন্ত করছে পুলিশ।

এদিকে আদালতের বারান্দা থেকে একসঙ্গে এতগুলো মামলার নথি হারিয়ে যাওয়ার ঘটনায় হতবাক আইনজীবীরাও। ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তের দাবি জানিয়েছেন চট্টগ্রাম জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি নাজিম উদ্দিন চৌধুরী। তিনি বলেন, ‘আদালতের মতো গুরুত্বপূর্ণ স্থান থেকে মামলার নথি হারিয়ে যাওয়ার ঘটনা ছোটখাটো বিষয় নয়। এগুলো গায়েব করার পেছনে কে বা কারা জড়িত, তা বের করতে হবে। আসামিরা মামলা থেকে সুবিধা নেওয়ার জন্য এ কাজ করতে পারেন।’

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..
© All rights reserved © 2021 SomoyerKonthodhoni
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com