বুধবার, ০২:৫৮ অপরাহ্ন, ০৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ২২শে মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ , ই-পেপার
নোটিশ :
মানব সেবায় নিয়োজিত অলাভজনক সেবা প্রদানকারী সংবাদ তথ্য প্রতিষ্ঠান।

আত্মসমর্পণকারী রুশ সেনাদের হত্যা

সময়ের কণ্ঠধ্বনি ডেস্ক :
  • আপডেট টাইম : মঙ্গলবার, ২২ নভেম্বর, ২০২২
  • ৮৭ বার পঠিত

সামাজিক মাধ্যমে সম্প্রতি ছড়িয়ে পড়া কিছু ভিডিও নিয়ে ইউক্রেনীয় বাহিনী বিতর্কের মুখে পড়েছে। ওই ভিডিওগুলোয় দেখা গেছে, ইউক্রেনের সেনারা রুশ সেনাদের একটি দলকে বন্দি করার চেষ্টা করছেন। আত্মসমর্পণকারী ওই রুশ সেনাদের পরবর্তী সময়ে মৃত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখা যায়। ভিডিওগুলো ছড়িয়ে পড়ার পর প্রশ্ন উঠেছে, আত্মসমর্পণকারী রুশ সেনাদের হত্যা করে ইউক্রেনীয় বাহিনী কি যুদ্ধাপরাধ করেছে, নাকি আত্মরক্ষার্থে এমনটা করতে বাধ্য হয়েছে?
এমন পরিস্থিতিতে মার্কিন সংবাদমাধ্যম নিউইয়র্ক টাইমস ওই ভিডিওগুলোর সত্যতা পরীক্ষা করেছে। এর ভিত্তিতে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে সংবাদমাধ্যমটি। গত সপ্তাহে সিরিজ ভিডিওগুলো সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে।
ভিডিওতে এ মাসের শুরুর দিকে হওয়া একটি গোলাগুলির ঘটনার আগের ও পরের দৃশ্য সংযোজন করা হয়েছে। এসব ভিডিওতে কমপক্ষে ১১ জন রুশ সেনাকে দেখা গেছে। তাদের বেশির ভাগকে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে থাকতে দেখা গেছে। তাদের খুব কাছ থেকে গুলি করা হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে।
ইউক্রেনের সংবাদমাধ্যম ও সামাজিক মাধ্যমে প্রথম ভিডিওগুলো প্রকাশ করা হয়। ভিডিওগুলোর সত্যতা পরীক্ষা করেছে নিউইয়র্ক টাইমস। তবে কেন এবং ঠিক কীভাবে ওই রুশ সেনাদের হত্যা করা হলো, তা ভিডিওতে দেখা যায়নি। এমন অবস্থায় এটি ইউক্রেনীয় বাহিনীর যুদ্ধাপরাধ হবে কিনা, তা নিয়ে অনলাইনে ব্যাপক বিতর্ক চলছে।
এ ঘটনা নিয়ে মস্কো ও কিয়েভ দুপক্ষই একে অপরকে দোষারোপ করছে। রাশিয়া বলছে, যুদ্ধবন্দি নিরস্ত্র সেনাদের নির্দয়ভাবে গুলি করেছে ইউক্রেন। আর ইউক্রেনের মানবাধিকারবিষয়ক কমিশনার দিমিত্র লুবিনেৎস বলেছেন, আত্মসমর্পণের সময় রুশ সেনাদের একজন ইউক্রেনীয় সেনাদের দিকে গুলি ছোড়ার কারণে এমন পরিস্থিতি হয়েছে।
জাতিসংঘ বলছে, এ ভিডিওগুলো নিয়ে তদন্ত হওয়া প্রয়োজন। জাতিসংঘের মানবাধিকার কার্যালয়ের মুখপাত্র মার্তা হুরতাদো রয়টার্সকে বলেন, ‘ভিডিও সম্পর্কে আমরা জানতে পেরেছি। আমরা এগুলো খতিয়ে দেখছি।’
মার্তা হুরতাদো আরও বলেন, ‘ও দ্য কুম্বার অন্তর্ভুক্ত সেনাদের হত্যার যে অভিযোগ উঠেছে, তা দ্রুত, পুরোপুরি ও কার্যকরভাবে তদন্ত করা প্রয়োজন এবং দোষী ব্যক্তিদের যে কাউকেই জবাবদিহির মুখোমুখি করতে হবে।’
আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী ফরাসি শব্দ ‘ও দ্য কুম্বা’ বলতে রণবাহিনী থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়া সেনাদের বোঝানো হয়ে থাকে। অর্থাৎ আত্মসমর্পণ, নিরস্ত্র হয়ে পড়া, অচেতন হয়ে পড়া কিংবা অন্য কোনো কারণে আত্মরক্ষার সক্ষমতা হারানোর কারণে যারা রণবাহিনীতে দায়িত্ব পালন করতে পারছেন না, তাদের ‘ও দ্য কুম্বা’ বলা হয়ে থাকে।
রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা ‘সুনিশ্চিত করা’র জন্য ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে সামরিক আগ্রাসন শুরু করে রাশিয়া। এই যুদ্ধে রাশিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধের অভিযোগ রয়েছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..
© All rights reserved © 2021 SomoyerKonthodhoni
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com