বরিশালের আগৈলঝাড়ায় স্বামীর স্বীকৃতির দাবিতে প্রেমিকের বাড়িতে গত সাত দিন ধরে অনশন করছে প্রেমিকা। প্রেমিকের সঙ্গে বিয়ে না হলে আত্মহত্যার হুমকি দেন। এদিকে ঘটনার পর থেকে আত্মগোপনে রয়েছে প্রেমিক। এ ঘটনায় থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে বলে জানান ওই তরুণীর পরিবার।
ঘটনাস্থলে গিয়ে জানা গেছে, ওই তরুণীর সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে প্রেম চলছিল উপজেলার বাগধা ইউনিয়নের মো. শহিদুল মিয়ার ছেলে মেহেদী হাসানের। এক বছর আগে গৌরনদী উপজেলার কসবা এলাকার এক মসজিদে গিয়ে প্রেমিকাকে মেহেদী হাসান নাকফুল ও আংটি পরিয়ে স্ত্রীর স্বীকৃতি দেন। তাঁরা উভয় পরিবারকে না জানিয়ে গোপনে স্বামী ও স্ত্রী হিসেবে বসবাস করে আসছিলেন।
আরও জানা গেছে, বিথী অন্তঃসত্ত্বা হলে মেহেদীকে সামাজিকভাবে বিয়ে করার জন্য চাপ দেন। মেহেদী সামাজিকভাবে বিয়ে না করতে টালবাহানা শুরু করেন। কৌশলে মেহেদী প্রেমিকাকে গর্ভপাতের জন্য ওষুধ সেবন করিয়ে গর্ভপাত ঘটায়। ওই তরুণী স্ত্রীর স্বীকৃতির দাবিতে গত ১৫ মার্চ বুধবার সকাল থেকে প্রেমিকের বাড়িতে অনশন শুরু করেন।
স্থানীয়রা বলেন, মেহেদী আত্মগোপনে রয়েছেন। ওই তরুণীকে বাড়ি থেকে তাড়ানোর জন্য গত বৃহস্পতিবার রাতে মেহেদীর মা-বাবা মারধর করেন। এ বিষয় নিয়ে উভয় পক্ষের গণ্যমান্য ব্যক্তিরা একাধিকবার বসলেও কোনো সমাধান হয়নি।
ভুক্তভোগী তরুণী বলেন, মেহেদীর সঙ্গে আমার প্রেমের সম্পর্কের কথা সবাই জানে। তাঁর সঙ্গে বিয়ে না হলে কাউকে মুখ দেখাতে পারব না। আত্মহত্যা ছাড়া আমার কোনো উপায় থাকবে না। প্রেমিক মেহেদী হাসান আত্মগোপনে থাকায় তাঁর কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি। তবে মেহেদীর বাবা শহিদুল মিয়া বলেন, দু-পক্ষ সামাজিকভাবে মীমাংসার জন্য বসা হবে।
এ বিষয়ে বাগধা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান আমিনুল ইসলাম বাবুল ভাট্টি বলেন, ‘দুই পক্ষের সঙ্গে আমার কথা হয়েছে। ঢাকা থেকে এলাকায় এসে বিষয়টি সমাধানের উদ্যোগ নেব।’
আগৈলঝাড়া থানা পরিদর্শক (তদন্ত) মাজহারুল ইসলাম বলেন, এ বিষয়ে এখন পর্যন্ত কোনো অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।