বরিশালের আগৈলঝাড়া উপজেলায় এক তরুণীর গোসলের ভিডিও মুঠোফোনে ধারণ করে দুই লাখ টাকা চাঁদা দাবির মামলায় আজ সোমবার এক আওয়ামী লীগ নেতাকে গ্রেপ্তার করেছে থানা-পুলিশ। গ্রেপ্তার কাজী শাহাদাৎ হোসেন রাজিহার ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি। এ নিয়ে মামলায় দুজনকে গ্রেপ্তার করল পুলিশ।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, সম্প্রতি রাজিহার ইউনিয়নের এক তরুণীর (১৯) গোসলের ভিডিও গোপনে মুঠোফোনে ধারণ করেন কাজী বিফোর। কাজী বিফোর ওই ভিডিও তরুণীকে দেখিয়ে তাঁকে কুপ্রস্তাব দেন। ওই তরুণী প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় বিফোর তাঁর কাছ থেকে দুই লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন। এ ঘটনায় ওই তরুণী রাজিহার ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি কাজী শাহাদাৎ হোসেন ও ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সদস্য কাজী তুষার হোসেনের কাছে বিচার দেন। তাঁরা বিফোরের পক্ষ নিয়ে তরুণীকে উল্টো হুমকি দেন ও প্রমাণ (ভিডিও) নষ্ট করেন। এ ঘটনায় তিনি গত বুধবার রাতে পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা করেন।
আগৈলঝাড়া থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. মাজহারুল ইসলাম বলেন, এ ঘটনায় তরুণী বাদী হয়ে বুধবার রাতে কাজী বিফোরকে (২২) প্রধান আসামি এবং রাজিহার ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি কাজী শাহাদাৎ হোসেন ও সদস্য কাজী তুষার হোসেনের নাম উল্লেখ করে মামলা করেছেন। ইতিমধ্যে প্রধান আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আজ নিজ বাড়ি থেকে এজাহারনামীয় আরেক আসামি শাহাদাৎ হোসেনকে গ্রেপ্তার করা হয়। আদালতের মাধ্যমে তাঁকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
আগৈলঝাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি ও রাজিহার ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মো. ইলিয়াস তালুকদার এ বিষয়ে বলেন, তাঁকে (শাহাদাৎ হোসেনকে) আগেই এ বিষয়ে সাবধান করা হয়েছিল। এ ঘটনায় মামলা হয়েছে। এখন আইন তার নিজস্ব গতিতে চলবে।