ডিভোর্স দেয়া স্ত্রীর দায়ের করা ধর্ষণ মামলার আসামী হয়েছে তার সৎ ছেলে এবং বৃদ্ধ স্বামী। সৎ মায়ের দায়ের করা ওই ধর্ষণ মামলায় সৎ ছেলের সাথে সত্তর বছরের বৃদ্ধ স্বামীকেও আসামী করায় এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যর সৃষ্টি হয়েছে।
থানায় দায়ের করা ধর্ষণ মামলার আসামি ডিভোর্সি স্বামীর দাবি অর্থ সম্পদের মালিকানা নিতেই মিথ্যে ধর্ষণ মামলা দায়ের করা হয়েছে। বাবা ও ছেলের বিরুদ্ধে চাঞ্চল্যকর ধর্ষণ মামলার ঘটনাটি জেলার আগৈলঝাড়া উপজেলার বাকাল ইউনিয়নের পয়সারহাট গ্রামে।
বুধবার রাতে মামলা দায়েরের সত্যতা স্বীকার করে আগৈলঝাড়া থানার ওসি মো. গোলাম ছরোয়ার এজাহারের বরাত দিয়ে জানান, পয়সারহাট গ্রামের মজিদ খান তার প্রথম স্ত্রী মারা যাবার পর তাসলিমা বেগমকে আট বছর পূর্বে বিয়ে করেন। তাসলিমা ও মজিদের দাম্পত্য জীবনে রাকিবুল হাসান নামে ছয় বছরের একটি ছেলে রয়েছে। স্বামী মজিদ খান হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে অসুস্থ। এ সুযোগে স্বামীর ঔরসজাত প্রথম স্ত্রীর সন্তান রাজিউল হাসান বাবু (৪২) তার সৎ মা তাসলিমা বেগমকে বিভিন্ন সময়ে কু-প্রস্তাব দিয়ে আসছিলো। এরইমধ্যে গত বছর ১১ নভেম্বর গভীর রাতে সৎ ছেলে রাজিউল হাসান বাবু তার সৎ মা তসলিমাকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে।
এজাহারে বাদি আরও উল্লেখ করেন, সৎ ছেলের কাছে ধর্ষিতা হবার কথা স্বামী মজিদ খানকে জানালে সে তার ছেলে রাজিউলকে কিছু না বলে বরং তার পক্ষালম্বন করে রাকিবুলকে নিয়ে নির্যাতিতাকে বাড়ি থেকে বের করে দেয়। বর্তমানে তাসলিমা তার শিশু ছেলেকে নিয়ে দক্ষিন বাগধা গ্রামের বাবার বাড়িতে অবস্থান করছে। এ ঘটনায় তাসলিমা তার সৎ ছেলে ও স্বামী মজিদ খানকে অভিযুক্ত করে মঙ্গলবার দিবাগত রাতে থানায় ধর্ষণ মামলা দায়ের করেছেন।
মামলার আসামি মজিদ খান মোবাইল ফোনে জানান, দাম্পত্য কলহের জেরধরে গত ২২ ডিসেম্বর তাসলিমাকে আমি তালাক দিয়েছি। এরপর ধর্ষণের অভিযোগ তোলার হুমকি দিয়ে গত এক মাস যাবত তাসলিমা তার এক নিকটাত্মীয়র মাধ্যমে আমার কাছে ৫০ লাখ টাকা দাবি করে আসছিলো। তাদের দাবিকৃত টাকা না দেয়ায় এ মিথ্যে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
মামলার তদন্তকারী অফিসার এসআই নুরুল আলম জানান, মামলা দায়েরের পর গৌরনদী সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আল বেরুণী বুধবার দুপুরে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। অভিযুক্তদের গ্রেফতারের জন্য অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে। পাশাপাশি আজ বৃহস্পতিবার সকালে তাসলিমাকে ডাক্তারী পরীক্ষার জন্য বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে প্রেরন করা বলেও তিনি উল্লেখ করেন।