বরিশালে বিএনপির গণসমাবেশে অংশগ্রহণ করায় আগৈলঝাড়া উপজেলা ছাত্রদলের সদস্য সচিব রাতুল ইসলাম শাহেদকে মারধর করে তার মোটরসাইকেল নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ উঠেছে।
গতকাল রোববার সকালে উপজেলার গৈলা বাজারে এ ঘটনা ঘটে।
ছাত্রদল নেতা শাহেদ জানান, হামলার পর ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা উপজেলা হাসপাতালে লাঠিসোটা নিয়ে মহড়া দেয় যাতে তিনি চিকিৎসা নিতে না পারেন। হাসপাতালে না পেয়ে হামলাকারীরা তার বাড়িতেও হান দেয়। তিনি আত্মগোপনে থেকে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
শাহেদ জানান, কাঁচাবাজার করার জন্য রোববার বেলা ১১টার দিকে তিনি গৈলায় যান। বাজার শেষে ফেরার সময় উপজেলা ছাত্রলীগ সভাপতি মিন্টু সেরনিয়াবাত এবং কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সৌরভ মোল্লার নেতৃত্বে ৮-১০ জন তাকে ঘিরে ধরেন। এসময় বরিশালে বিএনপির গণসমাবেশে কেন অংশ নিয়েছেন তা জানতে চেয়ে তারা তাকে এলোপাতাড়ি কিল-ঘুষি মারতে থাকে। পরে হামলাকারীরা পাশের দোকান থেকে লাঠিসোটা আনার সময় তিনি আত্মরক্ষার্থে মোটরসাইকেল ফেলে দৌড়ে পালিয়ে যান। হামলাকারীরা তাকে ধাওয়া করে এবং তার মোটরসাইকেল নিয়ে চলে যায়।
এসব অভিযোগ প্রসঙ্গে উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মিন্টু সেরনিয়াবাত বলেন, ছাত্রদল নেতা রাতুলের ওপর হামলা হয়েছে বলে তিনি বিকেলে শুনেছেন। তবে তিনি ঘটনাস্থলে ছিলেন না। উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি হওয়ায় ছাত্রদল নেতা তার নাম বলেছেন।
সৌরভ মোল্লা বলেন, ছাত্রদল নেতা শাহেদ সকালে গৈলা বাজারে এসে গর্ব করে বলতে থাকেন, বরিশালে তাদের সমাবেশ সফল হয়েছে। তার দল (বিএনপি) খুব শিগগিরিই ক্ষমতায় আসছে। তিনি আওয়ামী লীগ নেতাদের নাম ধরে গালাগালিও করেন। শাহেদ এসব করলেও তাকে কেউ কিছু বলেনি। মোটরসাইকেলও ছিনতাই হয়নি। শাহেদ মিথ্যাচার করছে।
আগৈলঝাড়া থানার পরিদর্শক (ওসি, তদন্ত) মো. মাজহারুল ইসলাম বলেন, ছাত্রদল নেতার ওপর হামলার ঘটনাটি তিনি জানেন না। এ ব্যাপারে থানায় কেউ কোনো অভিযোগ করেননি। লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।