চট্টগ্রামে কর্ণফুলী উপজেলার মইজ্যারটেকে এস আলম রিফাইন্ড সুগার মিলে লাগা আগুনে শেষ মজুদ করা এক লাখ মেট্রিক টন অপরিশোধিত চিনি। আসন্ন রমজান ঘিরে এই বিপুল পরিমাণ চিনি আমদানি করা হয়েছিল। আজ সোমবার সন্ধ্যায় এস আলম গ্রুপের নির্বাহী পরিচালক সুব্রত কুমার ভৌমিক সাংবাদ মাধ্যমকে বিষয়টি জানান।
সুব্রত কুমার ভৌমিক বলেন, ‘রমজানের জন্য এক লাখ মেট্রিক টন অপরিশোধিত চিনি মজুদ করা হয়েছিল। এই চিনি ব্রাজিল থেকে আমদানি করা হয়েছিল। আগুনের পরিস্থিতি দেখে বোঝা যাচ্ছে চিনি আর অবশিষ্ট নেই। ফলে রমজানে আমাদের পক্ষে বাজারে চিনি দেওয়া সম্ভব হবে না।’
তিনি আরও বলেন, ‘মিল চালু থাকা অবস্থায় আগুন চারদিকে ছড়িয়ে যায়। ভেতরে কেউ আটকা পড়েছে কি না বা কোথা থেকে আগুনের সূত্রপাত এর কিছুই আমরা জানতে পারিনি। তিন ঘণ্টায়ও আগুন নিয়ন্ত্রণে আসেনি। আগুন যেন মূল কারখানায় ছড়িয়ে না পড়ে ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা সে চেষ্টাই করছেন। আমরাও তাদের সহায়তা করছি।’
এর আগে, আজ বিকেল ৪টার দিকে কর্ণফুলী থানাধীন এলাকায় এস আলম রিফাইন্ড সুগার ইন্ডাস্ট্রিজ নামের ওই চিনি কারখানায় আগুন লাগে। আগুন লাগার খবরে বিকেলে ৩টা ৫৩ মিনিটে স্থানীয় পাঁচটি ফায়ার স্টেশনের ৯টি ইউনিট ঘটনাস্থলে আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ শুরু করে।
সাড়ে তিন ঘণ্টা পেরিয়ে গেলেও আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়নি। ফায়ার সার্ভিসের পাশাপাশি আগুন নেভাতে কাজ করছে কোস্টগার্ড ও বিমানবাহিনীর একাধিক ইউনিট।
ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের সহকারী পরিচালক আবদুল মালেক বলেন, ‘এস আলম রিফাইন্ড সুগার মিলের আগুন যেন ছড়িয়ে না পড়ে আমরা সেই চেষ্টা করছি। আগুন নিয়ন্ত্রণে বর্তমানে ফায়ার সার্ভিসের ১৮টি ইউনিট কাজ করছে। চিনির মিলের ছয়টি গোডাউনের মধ্যে আগুন এখনও একটিতে সীমাবদ্ধ আছে। আগুন নির্বাপণ কাজে ফায়ার সার্ভিসের সঙ্গে যোগ দিয়েছে কোস্টগার্ড ও বিমানবাহিনীর একাধিক ইউনিট। এখন পর্যন্ত কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।’