আগামী বছর থেকে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সাপ্তাহিক ছুটি দু’দিন কার্যকর হচ্ছে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা: দীপু মনি।
সোমবার (৫ সেপ্টেম্বর) সচিবালয়ে এসএসসি ও সমমান পরীক্ষাকে সামনে রেখে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি সংক্রান্ত এক সভা শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের সামনের বছর থেকে এমনিতেই ছুটি দু’দিন। এখনি এটা এগিয়ে এনেছি দুই দিন। এখনের পরে আমাদের হাতে আর খুব বেশি সময় নেই। তখন আমরা এটা সাময়িকভাবে করেছিলাম। বিদ্যুৎ পরিস্থিতি যদি আগামী সপ্তাহ থেকেই খুব ভালো হয়ে যায়, আর আমরা যদি সকলেই মনে করি যে না আমাদের যতটুকু কাজ আছে সেটা শেষ করার জন্য আর কয়েকটি দিন অতিরিক্ত হলে আমাদের ভালো হয়, তাহলে হয়তো আমরা পরিবর্তনে যাবো।’
‘কিন্তু আগামী বছর থেকে এটি দু’দিনই হবে। এখনকারটা পরিস্থিতির ওপর নির্ভর করবে। যেহেতু আর চারটা মাস আছে। এর মধ্যে আবার এসএসসি পরীক্ষা আছে, এইচএসসি পরীক্ষা আছে।’
সরকার বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সাশ্রয় নীতি গ্রহণ করায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে সাপ্তাহিক ছুটি দু’দিন করা হয়েছে। আগে ছুটি ছিল শুধু শুক্রবার। কিন্তু এই নীতি গ্রহণের পর শনিবারও ছুটি পাচ্ছেন স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরা।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘নতুন কারিকুলামে আমাদের দুই দিন ছুটি। সেটা আগামী বছরের জানুয়ারি থেকে শুরু হওয়ার কথা। সেটা এগিয়ে এনেছি যে এখন থেকেই সেটা হোক। আমাদের শিক্ষকরা অন্যান্য পেশার চেয়ে ৫২ দিন বেশি কাজ করেন বছরে।
‘শিক্ষকদের একটু সময় দরকার, বাচ্চাদেরও একটা সময় দরকার। কারণ সারা বিশ্বের সব স্টাডি বলছে, দুই দিন অন্তত ছুটি হলে শেখার পক্ষেও সহায়ক এবং শেখানোর পক্ষেও সহায়ক।’
দু’দিন ছুটি ঘোষণার পর কতটুকু বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সাশ্রয় হয়েছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘কতটুকু বিদ্যুৎ সাশ্রয় হচ্ছে সেই ডাটা আমাদের কাছে নেই। কিন্তু আমাদের কাছে অনুরোধ ছিল, সেই অনুরোধে একটা দিন যদি বিদ্যুৎ ব্যবহার না হয়, শুধু তো বিদ্যুতের ব্যবহার না, জ্বালানিরও একটা বিষয় থাকে।’
স্কুলের কারণে যে পরিমাণ যানজট হয় সেগুলো সব মিলিয়ে যে জ্বালানি সাশ্রয়, আমাদের কাছে সুনির্দিষ্ট কোনো তথ্য নেই। কিন্তু আমরা সবাই জানি যে একেবারেই খুব কম নয়। এখন চেষ্টা করে একেবারেই সাশ্রয়ের দিকে যেতেই হচ্ছে। শুধু আমাদের দেশে না সারা পৃথিবীতেই যেতে হচ্ছে।
সূত্র : ইউএনবি