আগামী বছর এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা এগিয়ে আনা হবে। এ বিষয়ে পরিকল্পনা চলছে বলে জানিয়েছেন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব আবু বকর ছিদ্দীক।
বৃহস্পতিবার সকালে রাজধানীর মতিঝিলে আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজে পরীক্ষাকেন্দ্র পরিদর্শন শেষে এ কথা জানান তিনি।
আবু বকর ছিদ্দীক বলেন, এ বছর সেপ্টেম্বর মাসে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হলেও আগামী বছরের পরীক্ষা আরো এগিয়ে নিয়ে আসা হবে। আগে এসএসসি পরীক্ষা জানুয়ারি মাসে শুরু হতো। আমরা সেখানে ফিরে যেতে না পারলেও মার্চে শুরু করার পরিকল্পনা রয়েছে।
এবছর যানজটের কথা বিবেচনা করে এক ঘণ্টা পেছানো হয়েছে এসএসসি পরীক্ষা।
তিনি বলেন, সারাদেশে কোনো কেন্দ্রে পরীক্ষা গ্রহণে অসুবিধা হয়নি। শিক্ষার্থীরা যথাসময়ে পরীক্ষাকেন্দ্রে উপস্থিত হয়েছে।
এদিকে আগামী বছরে এসএসসি ও সমমান পরীক্ষা পূর্ণাঙ্গ সিলেবাসে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা জানিয়েছেন ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক তপন কুমার সরকার।
তিনি বলেন, আগামী বছরের এসএসসি ও এইচএসসি স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে বড়জোর এক মাস পেছাতে পারে। অর্থাৎ এসএসসি পরীক্ষা ফেব্রুয়ারিতে শুরু না হয়ে এক মাস পেছাতে পারে। অন্যদিকে এইচএসসি পরীক্ষা এপ্রিলে শুরু না হয়ে মাসখানেক পেছাতে পারে।
উল্লেখ্য, চলতি বছর নয়টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ডের অধীনে এসএসসি পরীক্ষায় প্রায় ১৫ লাখ ৯৯ হাজার ৭১১ জন, মাদরাসা শিক্ষা বোর্ডের অধীনে দাখিল পরীক্ষায় দু’লাখ ৬৮ হাজার ৪৯৫ জন এবং বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে এক লাখ ৫৩ হাজার ৬৬২ পরীক্ষায় অংশ নেবে।
সারাদেশে এসএসসি পরীক্ষার জন্য প্রায় তিন হাজার ৭৯০টি কেন্দ্র নির্ধারণ করা হয়েছে।
এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা ১৯ জুন শুরু হওয়ার কথা থাকলেও দেশের বন্যা পরিস্থিতির কারণে ১৭ জুন তা স্থগিত করা হয়।
এর আগে করোনাভাইরাসের কারণে এই পরীক্ষা চার মাস পিছিয়ে দেয়া হয়েছিল। সাধারণত এসএসসি ও সমমান পরীক্ষা বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে অনুষ্ঠিত হয়।
পরীক্ষা উপলক্ষে সারাদেশের সকল কোচিং সেন্টার ২ অক্টোবর পর্যন্ত বন্ধ থাকবে।