ধাক্কা দিলেই আওয়ামী লীগ পড়ে যাবে না বলে মন্তব্য করেছেন দলটির সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আজ মঙ্গলবার বিকেলে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস’ উপলক্ষে আওয়ামী লীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় সভাপতির এ কথা বলেন তিনি।
আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা বলেন, ‘খুব একটা আতঙ্ক সৃষ্টি করেছিল ১০ তারিখ (১০ ডিসেম্বর) নিয়ে। এত ঢাক-ঢোল পিটিয়ে ১০ তারিখ চলে গেল গোলাপবাগে। সেটা আমি বলতে চাই না। সেখানে যেতে হলো।’
আগামীকাল বুধবার বিএনপি ও সমমনা দলগুলোর গণঅবস্থান কর্মসূচির বিষয়ে শেখ হাসিনা বলেন, ‘এখন আবার বলে ১১ তারিখ থেকে তারা আন্দোলন করবে। আবার সঙ্গে জুটে গেছে অতি বাম, অতি ডান। সব অতিরা এক জায়গায় হয়ে, আতি-পাতি নেতা হয়ে, তারা নাকি একেবারে ক্ষমতা থেকে আমাদের উৎখাত করবে।’
তিনি বলেন, ‘একটা কথা আমি বলে দিতে চাই। আওয়ামী লীগ জনগণের জন্য কাজ করে। আর আওয়ামী লীগ জনগণের কল্যাণে কাজ করে। আওয়ামী লীগকে ধাক্কা দিল, আর আওয়ামী লীগ পড়ে গেল, এত সহজ নয়।’
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘অবৈধ ক্ষমতাকে বা কেউ যদি ভোট চুরি করে- তাকে ক্ষমতা থেকে হটানো সেটা আওয়ামী লীগ পারে, এটা আমরা প্রমাণ করেছি। এটা আমরা প্রমাণ করেছি বার বার। আমরা গণতন্ত্রের চর্চা নিজের দলে করি। দেশেও গণতন্ত্র চর্চা করি।’
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে স্মরণ করে তার জ্যেষ্ঠ কন্যা শেখ হাসিনা বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান যখনই সুযোগ পেয়েছেন তখনই বাঙালির জন্য কিছু করে গেছেন। আমরা এ দেশকে ভালোবাসতে শিখেছি তার কাছ থেকেই।’
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু মাত্র পাঁচ বছর সময় পেয়েছিলেন। আর কয়েকটি বছর যদি তিনি সময় পেতেন, বাংলাদেশ ১০ বছরের মধ্যেই উন্নত সমৃদ্ধ দেশ হিসেবে গড়ে উঠত। বঙ্গবন্ধু হত্যায় পরিবারের চেয়ে দেশের মানুষের বেশি ক্ষতি হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘জাতির পিতার স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের মধ্য দিয়েই মহান মুক্তিযুদ্ধের বিজয় ও স্বাধীনতা অর্জন সম্পূর্ণ হয়। বাংলার মাটিতে ফিরেই বঙ্গবন্ধু ফিরে যান দেশের মানুষের কাছে।’
আলোচনা সভায় স্বাগত বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। এতে আরও বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য মো. আলী আরাফাত, তারানা হালিম, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) সাবেক উপাচার্য (ভিসি) ফারজানা ইসলাম, অভিনেতা রামেন্দু মজুমদার, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগ সভাপতি আবু আহমেদ মন্নাফী, ঢাকা মহানগর উত্তরের সাধারণ সম্পাদক এস এ মান্নান কচি প্রমুখ।