কানাডায় অবস্থানরত কবি আসাদ চৌধুরীকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছেন। বিভিন্ন শারীরিক জটিলতার কারণে তাকেটরন্টোর স্থানীয় মাইকেল গ্যারন হাসপাতালের ইমারজেন্সিতে নেওয়া হয়।
একুশে পদকপ্রাপ্ত এই কবিকে গতকাল বিকালে মাইকেল গ্যারন হাসপাতালে (প্রাক্তন টরন্টো ইস্ট জেনারেল হাস্পাতাল) দেখতেযান ফারহানা সান্তা। সেখানে গিয়ে ফেইসবুক স্টাটাসে তার অভিমত ব্যাক্ত করেন–
আমাদের প্রিয় কবি আসাদ চৌধুরীকে দেখতে গিয়েছিলাম।
সেখানে গিয়ে কবিপত্নী শাহানা আপা এবং কবির কনিষ্ঠ পুত্র জারিফ, তার স্ত্রী’র সঙ্গে দেখা হল। আমরা যাবার কিছু পর একেএকে কবি’র ভাগ্নী, ভাগ্নী জামাই, বিশিষ্ট রবীন্দ্রসঙ্গীত শিল্পী চিত্রা সরকার, রাখাল দা’, কন্ঠশিল্পী শিরীন, আনোয়ার ভাই, টরন্টোবাংলা বইমেলার প্রধান আয়োজক সাদি ভাই কবিকে দেখতে হাসপাতাল কক্ষে উপস্থিত হন।
কবি’র শারিরীক অবস্থা আগের চেয়ে অনেক ভালো, শ্বাস–প্রশ্বাস এখন অনেকটা স্বাভাবিক হয়েছে। সবাই কবি’র দ্রুত আরোগ্যলাভের জন্য দোয়া করবেন।
আসাদ চৌধুরী (জন্মঃ ১১ ফেব্রুয়ারি, ১৯৪৩) বাংলাদেশের একজন প্রখ্যাত কবি ও সাহিত্যিক। তিনি মনোগ্রাহী টেলিভিশনউপস্থাপনা ও চমৎকার আবৃত্তির জন্যও জনপ্রিয়।
আসাদ চৌধুরী ১৯৪৩ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি বরিশালের মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলার উলানিয়ায় জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতার নামমোহাম্মদ আরিফ চৌধুরী এবং মাতার নাম সৈয়দা মাহমুদা বেগম। আসাদ চৌধুরীর স্ত্রীর নাম সাহানা বেগম।
আসাদ চৌধুরী উলানিয়া হাই স্কুল থেকে ১৯৫৭ খ্রিস্টাব্দে প্রবেশিকা পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন। ১৯৬০ খ্রিস্টাব্দে তিনি উচ্চমাধ্যমিকপরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন বরিশালের ব্রজমোহন কলেজ থেকে। পরবর্তীকালে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা ভাষা ও সাহিত্যেঅধ্যয়ন করেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগ থেকে বাংলা ১৯৬৩ খ্রিস্টাব্দে স্নাতক (সম্মান) ও ১৯৬৪ খ্রিস্টাব্দেস্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঠ চুকে যাওয়ার পর কলেজে অধ্যাপনার মধ্য দিয়ে আসাদ চৌধুরীর চাকুরিজীবন শুরু। ব্রাহ্মণবাড়িয়া কলেজেতিনি ১৯৬৪ থেকে ১৯৭২ পর্যন্ত শিক্ষকতা করেন।১৯৮৫ থেকে ১৯৮৮ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত তিনি ভয়েজ অব জার্মানীর বাংলাদেশ সংবাদদাতার দায়িত্ব পালন করেন। ঢাকায়বাংলা একাডেমীতে দীর্ঘকাল চাকুরীর পর তিনি এর পরিচালক হিসেবে অবসর গ্রহণ করেন।