শুক্রবার, ১১:৩১ পূর্বাহ্ন, ০১ নভেম্বর ২০২৪, ১৬ই কার্তিক, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ , ই-পেপার
নোটিশ :
মানব সেবায় নিয়োজিত অলাভজনক সেবা প্রদানকারী সংবাদ তথ্য প্রতিষ্ঠান।
শিরোনাম :
সরকারকে বিব্রত করতে পোশাক শিল্পে অস্থিরতা গুগলকে ২0,000,000, 000,000,000, 000,000,000, 000,000,000 ডলার জরিমানা শেখ পরিবারের নাম বাদ দিয়ে জেলার নামে ১৮ বিশ্ববিদ্যালয় স্পিকারের দায়িত্ব পালন করবেন আইন উপদেষ্টা ছাত্র-জনতার সাথে সংঘর্ষ : জাপার প্রধান কার্যালয়ে আগুন প্রাথমিকে সহকারী শিক্ষক নিয়োগে তৃতীয় ধাপের ফল প্রকাশ দলগুলোর সঙ্গে মতবিনিময়ের প্রয়োজনবোধ করছে না নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশন রোহিঙ্গাদের স্বদেশে ফিরে যাওয়াই একমাত্র সমাধান : অস্ট্রেলিয়ার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ‘আ’লীগ আমলে ব্যাংক, জ্বালানি, অবকাঠামো ও আইসিটি খাতে বেশি অনিয়ম হয়েছে’ আমাদের নেতা তারেক রহমান একটি সাম্যের বাংলাদেশ গড়তে চান-এম. জহির উদ্দিন স্বপন

অর্থনৈতিক সংকট কাটেনি, ঋণে চড়া সুদের চাপ

সময়ের কণ্ঠধ্বনি ডেস্ক:
  • আপডেট টাইম : মঙ্গলবার, ২ জানুয়ারি, ২০২৪
  • ৩৫ বার পঠিত
অর্থনৈতিক সংকট কাটিয়ে ওঠার আগেই বছরের শুরুতে ঋণের চড়া সুদ ধার্য করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এখন ব্যাংক ঋণে গড়ে সুদহার ১২ শতাংশ।

দীর্ঘদিন ধরে আমানতের সুদহার ৬ শতাংশ ও ঋণের সুদহার ৯ শতাংশে আটকে রেখেছিল কেন্দ্রীয় ব্যাংক। সম্প্রতি নীতির পরিবর্তন আনায় ঋণের সুদহার বাড়তে শুরু করে।

 

একই ধারায় সুদহার আরো বাড়ল।মূলত মূল্যস্ফীতি কমাতে বাংলাদেশ ব্যাংক নতুন সুদহার ধার্য করলেও বাস্তবে তা কতটা কার্যকর হবে, তা নিয়ে সংশয় রয়েছে। তবে এই চড়া সুদহার নতুন করে বিনিয়োগ ও শিল্পের উৎপাদন এবং পণ্যের দাম বাড়িয়ে দেবে বলে মনে করছেন খাত বিশ্লেষকরা। তবে তাঁরা নতুন বছরে ঘুরে দাঁড়ানোর প্রত্যাশা করছেন।

 

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পরিপত্র অনুযায়ী, ২০২৪ নতুন বছরের প্রথম মাস জানুয়ারিতে ঋণের সুদহার হবে ১১.৮৯ শতাংশ। তবে ভোক্তা ঋণের সুদহার পড়বে প্রায় ১৩ শতাংশ। কেন্দ্রীয় ব্যাংক মূলত ‘এসএমএআরটি’ বা ‘স্মার্ট’ ‘এসএমএআরটি’ বা ‘স্মার্ট’ তথা সিক্স মান্থ মুভিং অ্যাভারেজ রেট অব ট্রেজারি বিল হিসেবে পরিচিত পদ্ধতির ওপর ভিত্তি করে এই ঋণের সুদহার নির্ধারণ করবে। সদ্যোবিদায়ি ২০২৩ সালের জুলাইয়ে ১৮২ দিন মেয়াদি ট্রেজারি বিলের ছয় মাসের গড় সুদহার (স্মার্ট রেট) ছিল ৭.১০ শতাংশ, আগস্টে ৭.১৪ শতাংশ এবং সেপ্টেম্বরে বেড়ে হয় ৭.২০ শতাংশ, অক্টোবরে ৭.৪৩ শতাংশ, নভেম্বরে ৭.৭২ শতাংশ এবং সর্বশেষ ডিসেম্বরে স্মার্ট রেট বেড়ে দাঁড়ায় ৮.১৪ শতাংশে।

 

বাংলাদেশ ব্যাংকের নিয়ম অনুযায়ী, ডিসেম্বর মাসের ‘স্মার্ট’ হারের সঙ্গে এখন সর্বোচ্চ ৩.৭৫ শতাংশ হারে মার্জিন বা সুদ যোগ করে জানুয়ারি মাসে ঋণ দিতে পারবে ব্যাংকগুলো। অন্যদিকে ৫.৭৫ শতাংশ হারে মার্জিন যোগ করতে পারে ব্যাংকবহির্ভূত আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো। অবশ্য একবার সুদহার কার্যকর করা হলে পরবর্তী ছয় মাসে তা আর পরিবর্তন করা যায় না। পাশাপাশি ডিসেম্বর মাসের ‘স্মার্ট’ হারের সঙ্গে সর্বোচ্চ ৩.৭৫ শতাংশ হারে মার্জিন বা সুদ যোগ করে জানুয়ারি মাসে ঋণ দিতে পারবে ব্যাংক। সেই হিসাবে ২০২৪ সালের প্রথম মাস জানুয়ারিতে বড় অঙ্কের ঋণে সর্বোচ্চ ১১.৮৯ শতাংশ সুদ নিতে পারবে।

 

প্রি-শিপমেন্ট রপ্তানি ঋণের সুদহার হবে ১০.৮৯ শতাংশ এবং কৃষি ও পল্লী ঋণের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ ১০.৮৯ শতাংশ সুদ। তবে জানুয়ারিতে ব্যক্তিগত ও গাড়ি কেনার ঋণে ব্যাংক নিতে পারবে ১২.৮৯ শতাংশ সুদ। কারণ সিএমএসএমই, ব্যক্তিগত ও গাড়ি কেনার ঋণে অতিরিক্ত ১ শতাংশ তদারকি বা সুপারভিশন চার্জ নেওয়ার সুযোগ রয়েছে, যা ডিসেম্বরে ছিল ১২.৪৭ শতাংশ। এ ছাড়া, ডিসেম্বরে বড় অঙ্কের ঋণে সুদহার ছিল ১১.৪৭ শতাংশ, প্রি-শিপমেন্ট রপ্তানি ঋণের ১০.৪৭ শতাংশ এবং কৃষি ও পল্লী ঋণের ক্ষেত্রে ১০.৪৭ শতাংশ।পরিপত্র অনুযায়ী, ব্যাংকের ক্ষেত্রে শুধু ঋণে সর্বোচ্চ সীমা থাকলেও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে আমানত সংগ্রহেও সুদহারের একটা সর্বোচ্চ সীমা দেওয়া আছে। এসব প্রতিষ্ঠান স্মার্টের সঙ্গে সর্বোচ্চ ২.৭৫ শতাংশ সুদ যোগ করে আমানত সংগ্রহ করতে পারবে। ‘স্মার্ট’ রেটের সঙ্গে সর্বোচ্চ ৫.৭৫ শতাংশ হারে মার্জিন বা সুদ যোগ করে ঋণের বিপরীতে সুদ নিতে পারবে ব্যাংকবহির্ভূত আর্থিক প্রতিষ্ঠান এনবিএফআই। সেই হিসাবে ডিসেম্বর মাসে তাদের সর্বোচ্চ ঋণের সুদহার হবে ১৩.৮৯ শতাংশ এবং আমানতে ১০.৮৯ শতাংশ। তবে জানুয়ারিতে ঠিক করা ঋণের এই সুদহার পরবর্তী ছয় মাসের মধ্যে পরিবর্তন করা যাবে না।

বাংলাদেশ ব্যাংক ২০২৩ সালের জানুয়ারিতে ১৮২ দিন মেয়াদি ট্রেজারি বিলের ছয় মাসের গড় সুদহার প্রকাশ করে। সেখানে দেখা যায়, গত জানুয়ারিতে স্মার্ট ছিল ৬.৯৬ শতাংশ। এরপর প্রতি মাসে একটু করে বেড়ে গত মে মাসে দাঁড়ায় ৭.১৩ শতাংশ। জুন ও জুলাইয়ে সামান্য কমে ৭.১০ শতাংশে নামে। এরপর আগস্ট থেকে ধারাবাহিকভাবে সুদহার বাড়ছে।

মূল্যস্ফীতি বৃদ্ধির জন্য এত দিন মূলত ডলারের মূল্যবৃদ্ধিকে দায়ী করে আসছিল বাংলাদেশ ব্যাংক। এখন সুদের হার বাড়িয়ে মূল্যস্ফীতি কমানোর চেষ্টা করছে তারা। সুদের হার বাড়লে মানুষ সাধারণত ব্যাংকে আমানত রাখতে উৎসাহিত হবে।

বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) তথ্য বলছে, গত জুন ও জুলাই মাসে দেশে মূল্যস্ফীতি সামান্য কমার পর আগস্ট ও সেপ্টেম্বর মাসেও তা আবার বেড়েছে। সর্বশেষ গত অক্টোবর মাসে খাদ্য মূল্যস্ফীতি হয়েছে ১২.৫৬ শতাংশ, যা গত ১১ বছর ৯ মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ। বিবিএসের মূল্যস্ফীতির হালনাগাদ তথ্য অনুযায়ী, অক্টোবরে সার্বিক মূল্যস্ফীতিও কিছুটা বেড়ে ৯.৯৩ শতাংশ হয়েছে। তবে নভেম্বর মাসে তা কমে হয়েছিল ৯.৪৩ শতাংশ।

সংস্থাটি তথ্য বলছে, গত জুন ও জুলাই মাসে দেশে মূল্যস্ফীতি সামান্য কমার পর আগস্ট ও সেপ্টেম্বর মাসেও তা আবার বেড়েছে। সর্বশেষ গত অক্টোবর মাসে খাদ্য মূল্যস্ফীতি হয়েছে ১২.৫৬ শতাংশ, যা গত ১১ বছর ৯ মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ। বিবিএসের মূল্যস্ফীতির হালনাগাদ তথ্য অনুযায়ী, অক্টোবরে সার্বিক মূল্যস্ফীতিও কিছুটা বেড়ে ৯.৯৩ শতাংশ হয়েছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..
© All rights reserved © 2021 SomoyerKonthodhoni
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com