সিনেমায় কাজ করতে গিয়ে দীর্ঘ ১০ বছর প্রেম করেন জোলি ও পিট। এরপর ২০১৪ সালে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন এই তারকা জুটি। কিন্তু বিয়ের মাত্র দুই বছর পর বিচ্ছেদ হয়ে যায় তাদের।
স্বামী ব্র্যাড পিটের বিরুদ্ধে অ্যাঞ্জেলিনা জোলির অভিযোগ ছিল, ঘরে ফিরে ব্র্যাড তাকে নিয়মিত নির্যাতন করতেন। এর বিচার চেয়ে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন এই অভিনেত্রী।
২০১৯ সালে তাদের বিবাহবিচ্ছেদের পর পরস্পরের বিরুদ্ধে দীর্ঘদিন ধরে মামলা-মোকদ্দমা চলে আসছিল। অবশেষে সকল অভিযোগ গুটিয়ে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন জোলি। এর ফলে স্বস্তিতে ফিরেছেন ব্র্যাড পিট।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি বলছে, ২০২২ সালে এফবিআই এর বিরুদ্ধে অভিযোগ আনেন জোলি। সেখানে জোলি ছদ্মনামে অভিযোগ করেন। এর আগে ২০১৬ সালের ঘটনা নিয়ে পিটের বিরুদ্ধে করা মানহানির মামলার সঠিক তদন্ত হয়নি। এরপর গত বুধবার ২৫ সেপ্টেম্বর আদালতকে সেই অভিযোগ তুলে নেওয়ার সিদ্ধান্ত জানিয়েছেন জোলি।
তবে, সে সময় এফবিআইয়ের কাছে জোলির অভিযোগ ছিল, ২০১৬ সালের ১৪ সেপ্টেম্বর প্রাইভেট জেটে করে সন্তানদের নিয়ে ফ্রান্স থেকে যুক্তরাষ্ট্রে ফিরছিলেন দুই তারকা। এ সময়ে জোলি এবং পিটের মধ্যে তর্ক শুরু হয়। কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে জোলিকে ঘাড় ধাক্কা দেন পিট, সেই সঙ্গে তার মাথা ধরে ঝাঁকান। এমনকি এক পর্যায়ে সন্তানদের সঙ্গেও খারাপ ব্যবহার করেন ব্র্যাড পিট। এক সন্তানের গলা চেপে ধরেন, অন্যজনের মুখ চেপে ধরেন। এরপর জোলি ও সন্তানদের গায়ে মদ ছুড়ে মারেন পিট।
জোলির অভিযোগের ভিত্তিতে ২০১৬ সালের ওই ঘটনা নিয়ে তদন্ত শুরু করে এফবিআই ও লস অ্যাঞ্জেলেস কান্ট্রি ডিপার্টমেন্ট অব চিলড্রেন অ্যান্ড ফ্যামিলি সার্ভিসেস। একই বছরের নভেম্বরে এফবিআইয়ের এক মুখপাত্র জানান, এ ঘটনায় পিটের কোনও সংশ্লিষ্টতা পাননি তারা, ফলে তার বিরুদ্ধে কোনও অভিযোগ আনা হচ্ছে না। এরপর ২০২২ সালে এ তদন্তের নথি খতিয়ে দেখার দাবি তোলেন জোলি।
উল্লেখ্য, ব্র্যাড পিট ও আঞ্জেলিনা জোলি ২০০৫ সালে ‘মিস্টার অ্যান্ড মিসেস স্মিথ’ সিনেমায় অভিনয়ের মাধ্যমে কাছাকাছি আসেন। মিডিয়ায় এ জুটি পরিচিতি পেয়েছিল ‘ব্র্যাঞ্জেলিনা’ নামেও। পরস্পরের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগ এনে ২০১৭ সালে আলাদা থাকতে শুরু করেন তারা। ২০১৯ সালে তাদের বিচ্ছেদ হয়।