এক সিনেমা দিয়ে বেশ আলোচনায় রয়েছেন রণদীপ হুদা। ‘স্বতন্ত্র বীর সাভরকর’ সিনেমার জন্য নিজের ওজন কমিয়ে শরীর এবং চেহারার যে পরিবর্তন করেছেন তিনি, তা সত্যি বিরল! রণদীপ এই সিনেমাতে শুধু নাম ভূমিকায় অভিনয়ই করেন নি, তিনি সিনেমাটি পরিচালনাও করেছেন।
সাভরকরের মতো চেহারার জন্য প্রায় ৩২ কেজি ওজন কমিয়েছিলেন রণদীপ। টানা ১৮ মাস কম ওজন বজায় রাখতে হয়েছিল তাকে।
এ নিয়ে রণদীপ বললেন, ‘খুব কঠিন ছিল এই সফর। প্রায়শই দুর্বল লাগত। মনে হত, অজ্ঞান হয়ে যাব। একজন অভিনেতার জন্য এটা এক ভয়ঙ্কর অভিজ্ঞতা। কিন্তু আমি বিশ্বাস করি, প্রত্যেক অভিনেতার এই দিকে নজর রাখা উচিত। চরিত্রের লুক গুরুত্বপূর্ণ। পরিকল্পনার অভাবে আমাকে ভুগতে হয়েছে।’
তার জরাজীর্ণ চেহারার ছবি দেখে রীতিমতো চিন্তায় পড়ে গিয়েছিলেন অনুরাগীরা। রণদীপের এ অবস্থা দেখে হতবাক হয় তার বাবা-মাও। অভিনেতার বোন ডা: অঞ্জলি হুদা ‘স্বতন্ত্র বীর সাভরকর’-এর মাধ্যমে অভিনেত্রী হিসেবে আত্মপ্রকাশ করছেন এবং তিনি বলেছিলেন যে- রণদীপকে দেখে তার মা কেঁদেছিলেন।
সিনেমাটির জন্য রণদীপ হুদার ওজন কমানো এবং হাড়ের গঠন সম্পূর্ণ রূপান্তর, সবই অঞ্জলি আনন্দের কারণে। তার নির্দেশনা এবং তত্ত্বাবধানেই এটি করতে সক্ষম হন অভিনেতা। তবে ওজন কমানোর ক্ষেত্রে অঞ্জলি তেমন একটা সক্ষম নন। একটি সাক্ষাৎকারে, তিনি রণদীপ হুদার রূপান্তর প্রক্রিয়া এবং তার পিতামাতার প্রতিক্রিয়া সম্পর্কেও কথা বলেছেন।
রণদীপের এত ওজন কমে যাওয়া দেখে তার মা বিরক্ত হয়ে কাঁদতে লাগলেন। তিনি বলেন, ‘আমি দেখতে পাচ্ছি না ও এরকম কঙ্কাল হয়ে গেছে।’
রণদীপের বোন অঞ্জলি বলেন, ‘আমাকে মাকে আশ্বস্ত করতে হয়েছিল যে রণদীপ ভালো আছে এবং আমরা তার স্বাস্থ্যের যত্ন নিচ্ছি।’
অঞ্জলি আরও বলেন, এখন তার ভাই রণদীপ আর এভাবে এত ওজন কমাবে না। ‘সরবজিৎ’ সিনেমার সময় রণদীপকে সতর্কও করেছিলেন তিনি। কিন্তু, তার ইন্ডাস্ট্রি এবং কাজের প্রতি রণদীপের মনোসংযোগ দেখে, তিনি ওজন কমানোর এই বিষয়ে রাজি হন। অঞ্জলি তার তত্ত্বাবধানে রণদীপ হুদাকে নিরাপদে ওজন কমাতে বাধ্য করেন।
ভবিষ্যতে এই ধরনের অভিজ্ঞতার সম্মুখীন হতে চান না অভিনেতা। তার কথায়, ‘আরও অনুভবী মানুষের সঙ্গে কাজ করব, যারা কাজের গুণমান ও আমার স্বাস্থ্য নিয়ে সচেতন থাকবেন। সে রকম হলে ভবিষ্যতে আরও সহজ চরিত্রে অভিনয় করব। এতটাই খারাপ পরিস্থিতি ছিল, আমি মরে যেতেও পারতাম। আগামী দিনে এই ধরনের কাজ করলে আগে চুক্তি করে নেব।’