ডেস্ক রিপোর্ট:
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেনের আমন্ত্রণে ৫ দিনের সফর শেষে ইতোমধ্যেই পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন দেশে ফিরেছেন। তার এ সফর ঘিরে নানা মহলে কৌতূহলেরও সৃষ্টি হয়েছে।
বাংলাদেশের আগামী জাতীয় নির্বাচনের আগে এই সফরে ওয়াশিংটনের পক্ষ থেকে ঢাকাকে বেশ কয়েকটি স্পষ্ট বার্তা দেওয়া হয়েছে।
সফরকালে গত ১০ এপ্রিল ওয়াশিংটনে দুই দেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রী বৈঠক করেন। সে বৈঠকে যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে বেশ কয়েকটি বার্তা দেওয়া হয়।
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকের বিষয়ে ওয়াশিংটনে ও দেশে ফিরে বেশ কয়েক দফায় সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেছেন ড. মোমেন। তিনি বৈঠককে ফলপ্রসূ হিসেবে অভিহিত করেছেন।
ড. মোমেন বলেছেন, অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সাথে আমাদের দ্বিমত নেই। আমরাও চাই সুষ্ঠু নির্বাচন হোক। আর তত্ত্বাবধায়ক নির্বাচন ইস্যুতে তিনি বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র তত্ত্বাবধায়ক সরকার চায় না। আমাদের দেশে যে আইন আছে, সে আইনেই ইলেকশন চায়।
যেসব বার্তা দেয়া হলো –
দৃষ্টান্তমূলক নির্বাচন:
বাংলাদেশের আগামী জাতীয় নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ দেখতে চায় যুক্তরাষ্ট্র। ওয়াশিংটনের পক্ষ থেকে এটা সব সময়েই তাগিদ দেওয়া হচ্ছে। দুই দেশের শীর্ষ পর্যায়ের বৈঠকেও বরাবরই বিষয়টি তুলছে যুক্তরাষ্ট্র। তবে এবার ড. মোমেনের সঙ্গে বৈঠকে শুধু অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকেনি। এবার যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, দেশটি বাংলাদেশে এমন একটি নির্বাচন দেখতে চায়, সেটা হবে দৃষ্টান্তমূলক। আর সেই দৃষ্টান্তমূলক নির্বাচন দেখতে যুক্তরাষ্ট্রসহ সারা বিশ্বই বাংলাদেশের দিকে তাকিয়ে আছে। সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষতায় নির্বাচনটি যেন উদাহরণ হিসেবে গণ্য হয়।
নির্বাচন প্রস্তুতি নিয়ে আলাপ:
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে বাংলাদেশে আগামী জাতীয় নির্বাচনের প্রস্তুতি নিয়েও আলাপ হয়েছে। ড. মোমেন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে জানিয়েছেন সুষ্ঠু নির্বাচনের লক্ষ্যে ছবিসহ ভোটার তালিকা, স্বচ্ছ ব্যালট বাক্স ও শক্তিশালী নির্বাচন কমিশন গঠন করা হয়েছে। বাংলাদেশে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন হোক, সেটা বর্তমান সরকারও চায়।
অন্যান্য যেসব ইস্যুতে জোর দিলো যুক্তরাষ্ট্র:
ড. মোমেনের সঙ্গে ব্লিঙ্কেনের বৈঠকে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের অপব্যবহার নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে। একই সঙ্গে বাংলাদেশে শ্রম অধিকার ও মত প্রকাশের স্বাধীনতা নিশ্চিতে জোর দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।