স্বপ্নের পদ্মা সেতু যান চলাচলের জন্য যেদিন উন্মুক্ত করা হয় সেদিন রাতেই মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় ঝরে যায় দুই যুবকের প্রাণ। সে সময় দুর্ঘটনার প্রাথমিক কারণ হিসেবে সবাই বেপরোয়া গতিতে মোটরসাইকেল চালানোর সমালোচনা করে। তখন প্রকাশিত এক ভিডিওতে দেখা যায়, মোটরসাইকেলের গতি ছিল ঘণ্টায় ১০৫ কিলোমিটার।
কিন্তু সেতু উদ্বোধনের দ্বিতীয় দিন রোববার (২৬ জুন) রাতের ওই দুর্ঘটনার নতুন আরেকটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। এতে দেখা গেছে, শুধু দ্রুতগতির জন্য নয়, বরং ব্যক্তিগত গাড়ি থামিয়ে সেতুর মাঝ বরাবর দাঁড়িয়ে ছবি তোলার কারণেই পদ্মা সেতুতে অকালে ঝরেছে দুটি প্রাণ।
ভিডিওতে দেখা যায়, দুর্ঘটনার শিকার বাইকটি ছাড়াও আরেকটি মোটরসাইকেলের গতি বেশি ছিল। আর সেতুর এক পাশে একটি গাড়ি দাঁড় করিয়ে রাখা হয়েছিল। গাড়ির আরোহীরা সেতুর মাঝে দাঁড়িয়েই ছবি তুলছিলেন।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দাবি করা হচ্ছে, সেতুতে যারা ছবি তুলছিলেন তাদের বাঁচাতে গিয়েই দুর্ঘটনার শিকার হয়ে প্রাণ হারান মোটরসাইকেল চালক ও অপর আরোহী।
উল্লেখ্য, গত রোববার রাত সাড়ে ১০টার দিকে পদ্মা সেতুতে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় দুই যুবক নিহত হন। সেতুর ২৭ ও ২৮ নম্বর পিলারের মাঝামাঝি এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহতরা হলেন, মো. আলমগীর হোসেন (২২) ও মো. ফজলু (২১)।
এই দুর্ঘটনার জেরে সেতু বিভাগ গত রোববার রাতে এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে জানায়, সোমবার ২৭ জুন ভোর ৬টা থেকে পদ্মা সেতুতে অনির্দিষ্টকালের জন্য মোটরসাইকেল চলাচল নিষিদ্ধ করা হয়েছে।