শুক্রবার, ০১:৪৫ পূর্বাহ্ন, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ১৪ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ , ই-পেপার
নোটিশ :
মানব সেবায় নিয়োজিত অলাভজনক সেবা প্রদানকারী সংবাদ তথ্য প্রতিষ্ঠান।
শিরোনাম :
কলকাতায় বাংলাদেশি কনস্যুলেট ঘেরাওয়ের চেষ্টা, সংঘর্ষে আহত পুলিশ চলমান অস্থিরতার পেছনে ‘উদ্দেশ্যমূলক ইন্ধন’ দেখছে সেনাবাহিনী জাতীয় স্বার্থের বিরুদ্ধে যারাই যাবে, তাদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নিতে হবে : জামায়াত আমির বিচারপতিকে ডিম ছুড়ে মারার ঘটনায় প্রধান বিচারপতির উদ্বেগ ইসরাইলের বিরুদ্ধে জয় ঘোষণা হিজবুল্লাহর বাংলাদেশ ইস্যুতে মোদির সাথে কথা বলেছেন জয়শঙ্কর ইসকন ইস্যুতে কঠোর অবস্থানে সরকার : হাইকোর্টকে রাষ্ট্রপক্ষ আইনজীবী সাইফুল হত্যা : সরাসরি জড়িত ৮, শনাক্ত ১৩ র‍্যাবের সাবেক ২ কর্মকর্তাকে ট্রাইব্যুনালে হাজিরের নির্দেশ ছেলেসহ খালাস পেলেন বিএনপি নেতা খন্দকার মোশাররফ

অপারেশন কার্যক্রম বন্ধ বরিশালের ছয় উপজেলা হাসপাতালে!

সময়ের কণ্ঠধ্বনি ডেস্ক :
  • আপডেট টাইম : সোমবার, ২৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩
  • ৫৯ বার পঠিত

দেশের প্রত্যেক উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে অপারেশন কার্যক্রম চালু করার নির্দেশনা দিয়েছিলেন স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। ২০২২ সালের জানুয়ারি মাসের ওই সভায় স্বাস্থ্য মন্ত্রী জাহিদ মালেক নিজেই সভাপতিত্ব করেছেন। অথচ সভা তথা নির্দেশনার এক বছরেরও অধিক সময় অতিক্রম হওয়া সত্বেও বরিশালে বন্ধ থাকা একটি হাসপাতালেও অপারেশন কার্যক্রম চালু করা হয়নি। সংশ্লিষ্ট একাধিক সূত্রে জানা গেছে, জেলার তিনটি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে চলছে অপারেশন কার্যক্রম। আর বিভাগীয় শহর হওয়ায় সদর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সাধারনত অপারেশন কার্যক্রম থাকে না। সে হিসেবে জেলার বাকি ছয়টি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে অপারেশন কার্যক্রম পুরোপুরি বন্ধ রয়েছে।

কারণ হিসেবে জেলার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, যন্ত্রপাতি নষ্ট এবং জনবলের অভাবে অপারেশন কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। তবে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সুস্পষ্ট নির্দেশনা রয়েছে এসব অজুহাত দেখিয়ে অপারেশন বন্ধ রাখা যাবেনা। আন্তঃহাসপাতাল পেয়ার (সার্জন ও এ্যানেস্থেসিয়া চিকিৎসকদের সমন্বয়) সৃষ্টি করে প্রত্যেক উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে অপারেশন কার্যক্রম চালু করতে হবে। সূত্রমতে, ২০২২ সালের ১০ জানুয়ারি ওই সভার সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের পাশাপাশি বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক, জেলা সিভিল সার্জন ও উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তাদের। কিন্তু সভার এক বছরের বেশি সময় অতিক্রম হলেও বরিশাল জেলায় বন্ধ থাকা কোন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে অপারেশন কার্যক্রম শুরু হয়নি। জেলা ও বিভাগীয় স্বাস্থ্য কর্মকর্তাদের দাবী, মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা বাস্তবায়নে তারা সবধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন। যথাসম্ভব দ্রুত সময়ের মধ্যে ধাপে ধাপে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সগুলোতে অপারেশন কার্যক্রম শুরু হবে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, জেলা শহরের পাশ্ববর্তী উপজেলা বাকেরগঞ্জ, গৌরনদী এবং বানারীপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে অপারেশন কার্যক্রম সচল রয়েছে। সদর ব্যতিত বাকি ছয়টি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কয়েকটিতে প্রতিষ্ঠিত হবার পর থেকে এবং অন্যগুলোতে বছরের পর বছর ধরে বন্ধ রয়েছে অপারেশন কার্যক্রম। হিজলা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মো. মাজেদুল হক কাওছার বলেন, আমি পাঁচ মাস হলো উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব পালন করছি। আমার হাসপাতালে অপারেশন থিয়েটার, যন্ত্রপাতি ও জনবল (ডাক্তার) কিছুই নেই। তিনি আরও বলেন, পাঁচ মাস ধরে তো বটেই, আমার জানামতে প্রতিষ্ঠাকাল থেকে হাসপাতালটিতে ওটি কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। দুই মাস পূর্বে মুলাদী উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ফোন করে আন্ত হাসপাতাল সমন্বয় অর্থ্যাৎ আমাদের দুটি হাসপাতালের সমন্বয়ে ওটি কার্যক্রম চালুর বিষয়ে আলাপ করেছিলেন। আমরা আপতত সেই চেষ্টা করছি।

মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. সাইয়েদ আমরুল্লাহ বলেন, আমার হাসপাতালে জনবলের অভাবে অপারেশন কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। প্রতি মাসে আমি এ বিষয়ে জেলা ও বিভাগীয় কর্মকর্তাসহ স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও অধিদপ্তরে চিঠি লিখে যাচ্ছি। কিন্তু বাস্তবে কিছুই হচ্ছেনা। গৌরনদী, বাকেরগঞ্জ ও বানারীপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা তাদের নিজ নিজ হাসপাতালে ওটি কার্যক্রম চালু রয়েছে বলে স্বীকার করেছেন।

গৌরনদী উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মো. মনিরুজ্জামান বলেন, আমার হাসপাতালে রোগী সাপেক্ষে সপ্তাহে প্রতিদিনই অপারেশন কার্যক্রম হচ্ছে। কোন বিশেষ দিন নয় রোগী থাকলে সবদিনই ওটি করা হয়। অন্যান্য রোগীদের চেয়ে এখানে সিজারিয়ান রোগী বেশী হয়। প্রায় একই কথা বলেছেন বানারীপাড়া ও বাকেরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তরা। বরিশাল জেলা সিভিল সার্জন ডা. মারিয়া হাসান বলেন, মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা বাস্তবায়নে কাজ করে যাচ্ছি। তবে সব প্রক্রিয়া সহজতর নয়। তিনি আরও বলেন, জেলার তিনটি উপজেলা হাসপাতালে ওটি কার্যক্রম সচল রয়েছে। ধীরে ধীরে পেয়ার সৃষ্টি করে অন্যান্য হাসপাতালগুলোতেও অপারেশন কার্যক্রম শুরু করা হবে।

বরিশাল স্বাস্থ্য বিভাগীয় উপ-পরিচালক ডা. শ্যামল কৃষ্ণ মন্ডল বলেন, বরিশালে আমাদের মূল সমস্যা হচ্ছে জনবল সংকট। শুধু এই একটি সমস্যার কারনেই মূলত অধিকাংশ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ওটি বন্ধ রয়েছে। জনবল হলে আন্তঃহাসপাতাল সমন্বয় বা পেয়ার সৃষ্টি করে বন্ধ থাকা হাসপাতালে ওটি শুরু করা সম্ভব হবে।

তিনি আরও বলেন, আমরা জনবলের বিষয়ে প্রতিনিয়ত মন্ত্রণালয় ও অধিদপ্তরকে তাগিদ দিয়ে যাচ্ছি। আশা করছি খুব দ্রুত এর একটি সমাধান হবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..
© All rights reserved © 2021 SomoyerKonthodhoni
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com