অপরিকল্পিতভাবে বিদ্যুৎশক্তি বৃদ্ধিই এখন সরকারের গলার কাঁটা হয়ে দেখা দিয়েছে। বিশ্লেষকদের মতে, এ খাতে মোটা অঙ্কের আর্থিক ক্ষতিপূরণ গুনতে হয়েছে সরকারকে। গত ১৫ বছরে এই অর্থের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে প্রায় ৭০ হাজার কোটি টাকা।
পুরো অর্থই ক্যাপাসিটি চার্জের নামে গেছে কতিপয় বেসরকারি বিদ্যুৎকেন্দ্রের মালিকদের পকেটে। গড়ে প্রতিবছর ৫ হাজার কোটি টাকার ওপরে এই ক্যাপাসিটি চার্জ পরিশোধ করতে হয়েছে। অভিযোগ আছে, কেউ কেউ পুরোনো ও ভাঙাচোড়া বিদ্যুৎ প্লান্ট বসিয়েও ক্যাপাসিটি চার্জ হাতিয়ে নিয়েছে। একটি বিদ্যুৎকেন্দ্রের প্লান্ট-ফ্যাক্টর ৮০ শতাংশের ওপরে হলেও অনেক রেন্টাল-কুইক রেন্টাল বছরে তার সক্ষমতার ১২ শতাংশ কোনোটি মাত্র ১৬ শতাংশ উৎপাদনে ছিল।
তারপরও এসব কেন্দ্র বছরে ২৪২ কোটি টাকা থেকে ৩৬০ কোটি টাকা পর্যন্ত আয় করেছে উৎপাদন না করে নানা কূটকৌশলে। ২০১০ সালের নভেম্বরে চালু হওয়া একটি রেন্টালকেন্দ্রের চুক্তির মেয়াদ ছিল ২০১৩ সাল পর্যন্ত।
এ সময়ে উদ্যোক্তা শুধু ক্যাপাসিটি চার্জ বাবদ আয় করেছে ২৮৩ কোটি টাকা। পরে আরও পাঁচ বছরের জন্য চুক্তি নবায়ন করা হয়। অভিযোগ আছে, চুক্তির সময় কেন্দ্রের সক্ষমতা কৌশলে বেশি করে দেখানো হয়, যাতে ক্যাপাসিটি চার্জ বেশি হয়। চুক্তিতে যে সক্ষমতা দেখানো হয়, সে অনুযায়ী কেন্দ্রগুলো উৎপাদন করতে পারে না। কিন্তু ক্যাপাসিটি চার্জ সরকারকে ঠিকই গুনতে হয়েছে।
বিদ্যুৎ বিভাগের গবেষণা শাখা পাওয়ার সেল বলছে, আপাতত নতুন বিদ্যুৎকেন্দ্রের আর প্রয়োজন নেই। ২০৩১ সালে দেশে চাহিদা হবে ২৯ হাজার মেগাওয়াট। অনুমোদন পাওয়া ও নির্মাণ প্রক্রিয়ায় থাকা প্রকল্পগুলো বাস্তবায়নের পর উৎপাদন ক্ষমতা হবে ৪১ হাজার মেগাওয়াট। এরপরও রহস্যজনক কারণে নতুন নতুন বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনের চুক্তি হচ্ছে।
বিদ্যুতের ভয়াবহ লোডশেডিং সামাল দিতে ২০১০ সালে দ্রুত বিদ্যুৎ উৎপাদন বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। এরপর অনুমোদন দেওয়া হয় একের পর এক ব্যয়বহুল রেন্টাল ও কুইক রেন্টাল বিদ্যুৎকেন্দ্রের। যার অধিকাংশই ছিল ডিজেলচালিত।
যেখানে প্রতি ইউনিট উৎপাদন খরচ পড়েছে ৪০ থেকে ৫০ টাকা। চরম লোডশেডিংয়ে অতিষ্ঠ মানুষজন এবং শিল্প-কলকারখানার মালিকরা তখন সরকারের এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানালেও এখন এটি গলার কাঁটা হয়ে দেখা দিয়েছে।
এর সঙ্গে যোগ হয়েছে বারবার অপরিকল্পিত চুক্তি নবায়ন করার উদ্যোগ। বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, সরকার স্বল্প সময়ের কথা বললেও ১৫ বছর পেরিয়ে গেলেও এসব রেন্টাল-কুইক রেন্টাল বিদ্যুৎকেন্দ্রের অনেকগুলোই বন্ধ করেনি। উলটো বারবার চুক্তির মেয়াদ বাড়িয়ে প্রতিবছর হাজার হাজার কোটি টাকা ক্যাপাসিটি চার্জ পরিশোধ করে আসছে।
সম্প্রতি ৩০০ মেগাওয়াট ক্ষমতার আরও চারটি রেন্টাল বিদ্যুৎকেন্দ্রের মেয়াদ বাড়ানোর প্রস্তাব ক্রয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটিতে পাঠানো হয়েছে। প্রস্তাবে ‘নো ইলেকট্রিসিটি নো পেমেন্ট’ শর্তে মেয়াদ বাড়ানোর কথা বলা হয়েছে।
যদিও খাতসংশ্লিষ্টরা বলছেন, নতুন চুক্তিতে ক্যাপাসিটি পেমেন্ট না দিলেও ভিন্ন নামে টাকা নিয়ে যাবে মালিকরা। বর্তমান চুক্তিতে পরিবর্তনশীল মেরামত ও পরিচালন ব্যয় (ভেরিয়েবল ওঅ্যান্ডএম) আগের চেয়ে ৬০-৭০ গুণ বাড়িয়ে ধরা হয়েছে। প্রস্তাবে মেয়াদ বাড়ানোর যৌক্তিকতা তুলে ধরতে বিদ্যুতের চাহিদা বাড়িয়ে ধরাসহ নানা বিভ্রান্তিকর তথ্য সংযুক্ত করা হয়েছে বলে দাবি বিশেষজ্ঞদের।
বিদ্যুৎ বিভাগের হিসাবে, ২০০৯ সালে বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা ছিল চার হাজার ৯৪২ মেগাওয়াট। বর্তমানে ২৫ হাজার ৫৬৪ মেগাওয়াট। কিন্তু গ্রাহক চাহিদা গরমকালে ১৪ থেকে সর্বোচ্চ ১৫ হাজার মেগাওয়াট এবং শীতকালে ৮ হাজার মেগাওয়াট।
অর্থাৎ উৎপাদন ক্ষমতার অর্ধেক বিদ্যুৎও ব্যবহার করা যাচ্ছে না। অলস বসিয়ে রাখতে হচ্ছে সচল বিদ্যুৎকেন্দ্র। আর এর খেসারত হিসাবে বেসরকারি কেন্দ্রের বিদ্যুৎ ব্যবহার না করেই চুক্তি অনুযায়ী তথাকথিত ‘ক্যাপাসিটি চার্জ’ বাবদ প্রতিবছর গড়ে ৫ থেকে ৭ হাজার কোটি টাকা করে গচ্চা দিতে হচ্ছে সরকারকে। গত ১৫ বছরে এই গচ্চার পরিমাণ ৭০ হাজার কোটি টাকার বেশি বলে ধারণা করছেন খাতসংশ্লিষ্টরা।
বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, বেশিরভাগ বিদ্যুৎকেন্দ্রের মালিকরা সবাই প্রভাবশালী ও সরকারি দলের নেতা। যার কারণে রেন্টাল-কুইক রেন্টাল কেন্দ্রগুলোর মেয়াদ শেষ হয়ে গেলেও নানা ছুতোয় ও অজুহাতে কেন্দ্রগুলো নবায়ন করা হচ্ছে।
অভিযোগ আছে, অনেক বিদ্যুৎকেন্দ্র রয়েছে যেগুলো এখন চলেই না কিংবা যেগুলোর পরিচালন ব্যয় অনেক বেশি, তারপরও ক্যাপাসিটি চার্জ কিংবা অন্য চার্জ হাতিয়ে নেওয়ার ধান্ধায় কেন্দ্রগুলো নবায়ন করা হচ্ছে। অভিযোগ আছে, এক্ষেত্রে বিদ্যুৎ বিভাগ ও বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (পিডিবি) অসাধু কর্মকর্তাদের মাসোহারা দিয়ে বিদ্যুৎ ব্যবসা চালু রাখছেন সিন্ডিকেট।
অভিযোগ আছে ডিজেলচালিত বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোর অধিকাংশই এখন বাস্তবে উৎপাদনে নেই। সর্বোচ্চ পিক আওয়ারে খুব বেশি প্রয়োজন হলেই কেবল কিছু কিছু তেলচালিত বিদ্যুৎকেন্দ্র চালু করা হয়। বিশেষজ্ঞদের মতে, তেলচালিত এসব কেন্দ্র পুরোপুরি বন্ধ করে দিলেও বিদ্যুতের বড় ধরনের ক্রাইসিস হবে না।
তারপরও সম্প্রতি মেয়াদ বাড়ানোর জন্য চার রেন্টাল কেন্দ্রের নাম পাঠানো হয়েছে ক্রয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটিতে। এগুলো হলো পাওয়ারপ্যাক মুতিয়ারার কেরানীগঞ্জ ১০০ মেগাওয়াট, একর্ন ইনফ্রাস্ট্রাকচারের চট্টগ্রাম জুলদায় ১০০ মেগাওয়াট, নর্দান পাওয়ারের রাজশাহী কাটাখালী ৫০ মেগাওয়াট এবং সিনহা পাওয়ারের চাঁপাইনবাবগঞ্জের আমনুরা ৫০ মেগাওয়াট।
ফার্নেস অয়েলভিত্তিক পাঁচ বছরমেয়াদি এই চার রেন্টাল কেন্দ্র ২০১০ সালে উৎপাদনে আসে। এরপর তাদের মেয়াদ আরও পাঁচ বছর বাড়ানো হয়, যা চলতি বছর শেষ হয়েছে। উদ্যোক্তারা পাঁচ বছর মেয়াদ বাড়ানোর আবেদন করলেও ‘নো ইলেকট্রিসিটি নো পেমেন্ট’ শর্তে এগুলোর মেয়াদ দুই বছর বাড়ানো হচ্ছে।
কনজ্যুমার অ্যাসোসিয়েশনের (ক্যাব) জ্বালানি উপদেষ্টা অধ্যাপক শামসুল আলম যুগান্তরকে বলেন, রাষ্ট্রীয় বিভিন্ন সুবিধা দিয়ে রেন্টাল ও কুইক রেন্টালসহ শতাধিক প্রকল্প উৎপাদনে আনা হয়। তারপরও এগুলো থেকে মানসম্মত বিদ্যুৎ মেলেনি। দলীয় ব্যবসায়ীদের সুবিধা দিতে একের পর এক বিদ্যুৎকেন্দ্র করা হয়েছে। চাহিদা না থাকায় এসব কেন্দ্র প্রায়ই বন্ধ থাকে। বসে থেকে বছর বছর ক্যাপাসিটি পেমেন্ট নিচ্ছে। আবার সরকারি বিদ্যুৎকেন্দ্র বন্ধ রেখে বেসরকারি কেন্দ্র থেকে বিদ্যুৎ কেনা হচ্ছে।
এতদিনে ব্যয়বহুল এসব প্রকল্প থেকে বেরিয়ে আসার কথা থাকলেও নানা অজুহাতে রেন্টাল ও কুইক রেন্টালের চুক্তি বারবার নবায়ন করা হচ্ছে। সরকার-ঘনিষ্ঠ ব্যবসায়ীদের বাড়তি সুবিধা দিতে সব ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, অপ্রয়োজনীয় কেন্দ্রগুলো বন্ধ করে ভর্তুকির টাকা বিদ্যুৎ খাতের টেকসই উন্নয়নে কাজে লাগানো সম্ভব।
অধ্যাপক শামসুল আলম আরও বলেন, বিভিন্ন মহলের স্বার্থজনিত নানা কারণে বিদ্যুৎ খাতে এ অবস্থা। তিন বছরের চুক্তিবদ্ধ রেন্টাল প্রকল্প ১৫ বছরের জন্য ব্যবসা করার সুযোগ পাচ্ছে। ফলে গ্রাহক পর্যায়ে বিদ্যুতের দাম বেড়েই চলেছে।
পিডিবির তথ্যমতে, ২০০৭-০৮ থেকে ২০১৯-২০ অর্থবছর পর্যন্ত ১৩ বছরে বেসরকারি খাত থেকে কেনা হয় ২৫ হাজার ৩১ কোটি কিলোওয়াট ঘণ্টা বিদ্যুৎ। এজন্য পিডিবিকে পরিশোধ করতে হয় এক লাখ ৫৯ হাজার ৬৩ কোটি টাকা। এর মধ্যে শুধু ক্যাপাসিটি চার্জই ছিল ৬৪ হাজার ৩৭৪ কোটি টাকা।
২০১৬-১৭ অর্থবছরের তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, পাঁচটি ভাড়াভিত্তিক কেন্দ্র সারা বছরে সর্বোচ্চ ২০ শতাংশ সময় চালু ছিল। বছরের বেশিরভাগ সময় বসে থেকে এসব কেন্দ্র পিডিবির কাছ থেকে আলোচ্য অর্থবছরে এক হাজার ১৪২ কোটি টাকা আয় করেছে।
বিশ্লেষকরা বলছেন, বাংলাদেশের মতো একটি দেশে এ ধরনের ক্যাপাসিটি চার্জ অর্থনীতির জন্য বড় বোঝা। বিদ্যুৎ বিভাগের দূরদর্শী পরিকল্পনার অভাবে সরকারি কোষাগার থেকে হাজার হাজার কোটি টাকা বেরিয়ে যাচ্ছে। তাদের মতে, চাহিদার চেয়ে উৎপাদন ক্ষমতা সামান্য পরিমাণ বেশি থাকতেই পারে। কিন্তু তা দ্বিগুণ করে হাজার হাজার কোটি টাকার বিনিয়োগ অলস বসিয়ে রাখার কোনো যুক্তি নেই।
অর্থনীতিবিদদের মতে, বিদ্যুৎ এমনই একটা পণ্য যা মজুত বা সংরক্ষণ করা যায় না। যখন যতটুকু উৎপাদন হয়, তখন ঠিক ততটুকুই সরবরাহ হবে। বিদ্যুৎ খাতে বিনিয়োগ অত্যন্ত ব্যয়বহুল। হাজার হাজার কোটি টাকার বিনিয়োগ অলস বসে থাকার কারণে অর্থনীতিতে এর নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে বলে মনে করেন তারা।
১২ কোম্পানির ক্যাপাসিটি চার্জ ৮ হাজার কোটি টাকা : ২০২০-২১ অর্থবছরে ক্যাপাসিটি চার্জ পরিশোধ ছিল পিডিবির ইতিহাসে রেকর্ড। এ সময়ে শীর্ষ ১২টি কোম্পানিকে ৮ হাজার কোটি টাকার বেশি ক্যাপাসিটি চার্জ পরিশোধ করেছে। যা গত অর্থবছরের প্রদত্ত মোট ক্যাপাসিটি চার্জের ৬৬ দশমিক ৪০ শতাংশ।
বাংলাদেশের বৈদেশিক দেনাবিষয়ক কর্মজোটের (বিডব্লিউজিইডি) প্রকাশিত ‘দ্য পাওয়ার সেক্টর অব বাংলাদেশ ২০২১’ শীর্ষক প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে আসে। প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০২০-২১ অর্থবছরে বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (পিডিবি) ৩৭টি কোম্পানিকে ১৩ হাজার কোটি টাকার বেশি ক্যাপাসিটি চার্জ পরিশোধ করেছে। আগের অর্থবছরের চেয়ে তা ২১ দশমিক ২০ শতাংশ বেশি। আর ২০২০-২১ অর্থবছরে পিডিবি লোকসান গোনে প্রায় সাড়ে ১১ হাজার কোটি টাকা, যা ২০১৯-২০ অর্থবছরের ৫৪ দশমিক ৫ শতাংশ বেশি।
ওই অর্থবছরে ক্যাপাসিটি চার্জ নেওয়া শীর্ষ ১২ কোম্পানির বিদ্যুৎ উৎপাদন করেছে ৬ হাজার ৫০০ মেগাওয়াট। ক্যাপাসিটি চার্জ নেওয়া কোম্পানিগুলোর মধ্যে শীর্ষে রয়েছে সামিট গ্রুপ। এরপর পর্যায়ক্রমে ইউনাইটেড গ্রুপ, বাংলা ট্র্যাক, চায়না ন্যাশনাল মেশিনারি ইমপোর্ট অ্যান্ড এক্সপোর্ট করপোরেশন (সিএমসি) ও ওরিয়ন গ্রুপ।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, বাংলাদেশের বিদ্যুতের অর্থনৈতিক পরিস্থিতি খুবই নাজুক। দেশের এক-তৃতীয়াংশ বিদ্যুৎ উৎপাদন সক্ষমতা অব্যবহৃত অবস্থায় পড়ে আছে এবং বসে বসে রাষ্ট্রীয় কোষাগার থেকে টাকা আদায় করা এই বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলো অর্থনীতির গলার কাঁটা হয়ে দাঁড়িয়েছে। উপরন্তু সরকার কোম্পানিগুলোকে ক্যাপাসিটি চার্জ দিয়ে আসছে। ফলে বিদ্যুৎ খাতে বিশাল অর্থনৈতিক বোঝা বহন করতে হচ্ছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, এত বিশাল ক্যাপাসিটি চার্জ পরিশোধের পরও সরকার ২০৩০ সালের মধ্যে উৎপাদনে আসার জন্য মোট ৪৯ হাজার ৩৯২ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন আরও ৪৬টি বিদ্যুৎকেন্দ্রের অনুমোদন দিয়েছে। এর অধিকাংশই গ্যাসভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র। যদিও পেট্রোবাংলা বর্তমানে বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য প্রয়োজনীয় গ্যাসের মাত্র ৫৫ দশমিক ৩০ শতাংশ সরবরাহ করতে সক্ষম।