আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের সতর্ক করে বলেছেন, কোনো পরিবহন সমন্বয়কৃত ভাড়ার অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
আজ রোববার সকালে নিজ বাসভবনে ব্রিফিংকালে তিনি এ কথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, বিশ্বব্যাপী জ্বালানি তেলের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধিতে শেখ হাসিনা সরকার নিরুপায় হয়ে মূল্যবৃদ্ধি করেছে। আন্তর্জাতিক বাজারে মূল্য হ্রাস পেলে সরকার আবারো মূল্য সমন্বয় করবেন।
সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাবে বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের মূল্য অস্থিতিশীল হয়ে ওঠে। এর ফলে ডলারের সাথে টাকার বিনিময় হারেও প্রভাব পড়ে। এতে বিপিসিকে (বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশন) লোকসান গুনতে হচ্ছে।
তিনি বলেন, ‘পার্শ্ববর্তী দেশে জ্বালানি তেলের দাম বেশি হওয়ায় পাচারের আশঙ্কা ছিল। বিশ্ববাজারে মূল্যবৃদ্ধির ফলে ফেব্রুয়ারি ২২ থেকে জুলাই ২২ পর্যন্ত বিপিসির লোকসান ছিল প্রায় নয় হাজার কোটি টাকা। এ প্রেক্ষাপটেই সরকারকে বাধ্য হয়ে মূল্য সমন্বয় করতে হয়েছে।’
ওবায়দুল কাদের বিভিন্ন দেশের জ্বালানি তেলের বর্তমান অবস্থান তুলে ধরে বলেন, ‘মিয়ানমারে ডিজেলের লিটারপ্রতি মূল্য ১১২ টাকা ৫৬ পয়সা, ভারতে ১১৪ টাকা, শ্রীলঙ্কায় ১১৭ টাকা ৪৯ পয়সা, আরব আমিরাতে ১২২ টাকা ৮০ পয়সা, নেপালে ১২৭ টাকা ৮২ পয়সা, সিঙ্গাপুরে ১৮৯ টাকা ৭৮ পয়সা এবং হংকং-এ ২৬০ টাকা ৭৫ পয়সা।’
তিনি বলেন, ‘সরকার এর আগেও ২০২১ সালের ৪ নভেম্বর মূল্য সমন্বয় করে। তার আগে ২০১৬ সালের ২৫ এপ্রিল আন্তর্জাতিক বাজারে দাম কমায় ডিজেলের মূল্য কমিয়েছিল। ভবিষ্যতেও বিশ্ববাজারে দাম কমলে অভ্যন্তরীণ বাজারে দাম কমিয়ে সমন্বয় করা হবে।’
এ ছাড়া সড়ক পরিবহন মন্ত্রী বলেন, ‘এ কথা সত্য-অর্থনীতির বিভিন্ন খাতে জ্বালানির মূল্য বৃদ্ধির প্রভাব পড়ে। সরকার এ বিষয়টি সক্রিয় বিবেচনায় রেখে নেতিবাচক প্রভাব নিম্ন পর্যায়ে রাখতে সচেষ্ট।’
কাদের বলেন, ‘বিশেষজ্ঞদের মতে, বিশ্ববাজারে শিগগিরই জ্বালানির দাম স্থিতিশীল হতে শুরু করবে। সেটি আমাদের জন্য আশার বার্তা বয়ে আনবে।’
সেতুমন্ত্রী আশা প্রকাশ করে, ‘পরিবহন মালিক ও শ্রমিক সংগঠনগুলো সমন্বয়কৃত ভাড়ার অতিরিক্ত দাবি করবে না। কোনো পরিবহন সমন্বয়কৃত ভাড়ার অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করলে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।’