বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) সোমবার চালু করা একটি নির্দেশিকা অনুসারে মোবাইল ফোন অপারেটরদের অক্টোবর থেকে কলড্রপের জন্য টকটাইম ফেরত দিয়ে গ্রাহকদের ক্ষতিপূরণ দিতে হবে।
মোবাইল ফোন কলড্রপ, কলড্রপ সংক্রান্ত তথ্য ও টকটাইম ফেরত সংক্রান্ত অপারেটরদের জন্য নতুন নির্দেশিকাটি বিটিআরসি কার্যালয়ে বিটিআরসি চেয়ারম্যান (সিনিয়র সচিব) শ্যাম সুন্দর সিকদারের সভাপতিত্বে এক সংবাদ সম্মেলনে উপস্থাপন করেন। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে ছিলেন ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার।
নতুন নির্দেশিকায় বলা হয়েছে:-
একজন গ্রাহক সকল মোবাইল অপারেটরের জন্য একই ইউএসএসডি কোডের (*১২১*৭৬৫#) মাধ্যমে পূর্ববর্তী দিন বা সপ্তাহ অথবা মাসিক অননেট কলড্রপের পরিমাণ জানতে পারবে যা ১ অক্টোবর কার্যকর হবে।
মোবাইল অপারেটররা আর্থিক ও মানসিক ক্ষতি বিবেচনা করে ক্ষতিপূরণ হিসেবে প্রতিদিন প্রথম ও দ্বিতীয় কলড্রপের ক্ষেত্রে প্রতিটি কলড্রপের জন্য তিনটি পালস (৩০ সেকেন্ড) টকটাইম এবং পরবর্তী ৩য় থেকে ৭ম কলড্রপের ক্ষেত্রে প্রতিটি কলড্রপের জন্য চারটি পালসসহ (৪০ সেকেন্ড) গ্রাহকদের ফেরত দেবে।
কলড্রপের ফলে ফেরত টকটাইম পরের দিনের প্রথম কল (০০:০০ ঘণ্টা) থেকেই ব্যবহারযোগ্য হবে। যার অর্থ দাঁড়ায়- ফেরত টকটাইম সর্ম্পণূরূপে ব্যবহার হওয়ার পূর্বে গ্রাহকের অ্যাকাউন্ট হতে কলের জন্য কোনো টাকা কাটা যাবে না।
কলড্রপের ফলে ফেরত পাওয়া টকটাইম সম্পর্কে গ্রাহককে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে এসএমএসের মাধ্যমে জানাতে হবে।
একজন অপারেটর চাইলে কলড্রপ হওয়ার দিন থেকে কল মিনিট ফেরত দিতে পারে।
কলড্রপের ফেরত দেয়া টকটাইম ব্যবহারের জন্য সর্বাধিক ১৫ দিনের সময়কাল প্রযোজ্য হবে।
নতুন গাইডলাইনকে মাইলফলক হিসেবে উল্লেখ করে মোস্তাফা জব্বার বলেন, গ্রাহক টাকা দিয়ে সেবা গ্রহণ করেন। তাই অপারেটরকে যথাযথ সেবা নিশ্চিত করতে হবে।
তিনি বলেন, ‘গ্রাহককে ক্ষতিপূরণ না দেয়ার চেয়ে অপারেটররা টেলিযোগাযোগ অবকাঠামোয় বিনিয়োগ করলে কল ড্রপের হার কমে যাবে।’
মন্ত্রী অপারেটরদের প্রতি তাদের গ্রাহক বৃদ্ধির সাথে সাথে সেবার মান বাড়ানোর আহ্বান জানান।
সূত্র : ইউএনবি