বুধবার, ১০:৪৩ পূর্বাহ্ন, ০৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ২২শে মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ , ই-পেপার
নোটিশ :
মানব সেবায় নিয়োজিত অলাভজনক সেবা প্রদানকারী সংবাদ তথ্য প্রতিষ্ঠান।

তুতেনখামেনের সমাধির গোপন কুঠুরিতেই রয়েছেন রানি নেফারতিতি?

সময়ের কণ্ঠধ্বনি ডেস্ক:
  • আপডেট টাইম : মঙ্গলবার, ২৭ সেপ্টেম্বর, ২০২২
  • ৯২ বার পঠিত

কিশোর ফারাও তুতেনখামেনের সমাধির অদূরে কোনো গোপন কুঠুরিতে থাকতে পারে তার শাশুড়ি তথা সৎ মা নেফারতিতির মমি। ব্রিটিশ সংবাদপত্র ‘দ্য গার্ডিয়ান’-এ প্রকাশিত এক প্রতিবেদন এই দাবি করা হয়েছে। কয়েক বছর আগে তুতেনখামেনের সমাধিতে ইউরোপীয় গবেষকদলের অনুসন্ধানে ওই গোপন কক্ষ সন্ধানের ‘সূত্র’ মিলেছে বলে ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।

প্রাচীন মিসর-সংক্রান্ত একাধিক গবেষণাপত্রে, নেফারতিতির ‘গুপ্ত সমাধির’ সম্ভাবনার কথা বলা হয়েছে। ব্রিটিশ মিউজিয়ামের মিসর-সংক্রান্ত বিভাগের সাবেক প্রধান নিকোলাস রিভস এ প্রসঙ্গে বলেন, ‘তুতেনখামেনের সমাধিতে যে ছবিগুলি রয়েছে, তার মধ্যেই এর সঙ্কেত থাকতে পারে।’ তিনি জানান, একটি ছবিতে দেখা যাচ্ছে নেফারতিতিকে সমাধিস্থ করছেন তুতেনখামেন। যা ‘তাৎপর্যপূর্ণ’ বলেই তার মত।

প্রাচীন মিসরের ইতিহাসে ফারাও হিসাবে তুতেনখামেনের ভূমিকা তেমন গুরুত্বপূর্ণ ছিল না। কিন্তু ১৯২২ সালে খোঁজ পাওয়া তার মমির সাথে রাখা রাজকীয় ঐশ্বর্য টেক্কা দিয়েছিল বাকিদের। সেই সাথে পরবর্তী সময়ে জুড়ে গিয়েছিল মৃতের প্রতিশোধ নেয়ার অলৌকিক কিংবদন্তি। মিসরে অনেকেই বিশ্বাস করেন, তুতেনখামেনের মমিকে যারা বিরক্ত করবেন, তাদের মৃত্যু অনির্বায। এই বিশ্বাসটা তৈরি হয়েছিল, ১০০ বছর আগে তুতেনখামেনের মমি আবিষ্কারের পর থেকেই। খননকাজে ব্রিটিশ প্রত্নতত্ত্ববিদ হাওয়ার্ড কার্টারের নেতৃত্বে যে সব কর্মী-গবেষক যুক্ত ছিলেন, ঘটনাচক্রে তাদের মধ্যে অনেকেরই মৃত্যু ঘটেছিল অস্বাভাবিকভাবে!

দীর্ঘ ৩,৩০০ বছর ধরে তুতেনখামেনের সমাধির ভেতর লুকিয়ে থাকা কক্ষের সন্ধান শুরু হয়েছিল কয়েক বছর আগেই। তুতেনখামেনের মতোই তার শাশুড়ির সমাধিতেও বিপুল পরিমাণ ধনসম্পদ থাকতে পারে বলে ওই সময় জানিয়েছিলেন নিকোলাস। বস্তুত, সুন্দরী নেফারতিতিই ওই সমাধিস্থলের ‘আসল মালিক’ হতে পারেন বলেও জানিয়েছিলেন তিনি। নেফারতিতির মমির সন্ধান পেতে নিকোলাসের উদ্যোগে গত দেড় দশকে ফারাও বংশের একাধির মমির ডিএনএ পরীক্ষাও হয়েছিল।

তুতেনখামেন ছিলেন ফারাও চতুর্থ আমেনহোটেপ বা আখেনাতেনের জামাই। আখেনাতেন-এর স্ত্রী ছিলেন সুন্দরী নেফারতিতি। এদের পুত্রসন্তান ছিল না, ছিল সাতটি কন্যা। এদেরই একজনকে বিয়ে করেছিলেন তুতেনখামেন। তিনি মিসরের ১৮তম রাজবংশের সবচেয়ে কম দিনের কিশোর সম্রাট। তার জন্ম আমরানাতে, খ্রিস্টপূর্ব ১৩৪১ শতকে। রাজত্বকাল খ্রিস্টপূর্ব ১৩৩২-১৩২৩। তুতেনখামেনের শ্বশুর তথা নেফারতিতির স্বামী চতুর্থ আমেনহোটেপ ছিলেন প্রাচীন মিসরের অন্যতম উল্লেখযোগ্য ফারাও।

অন্য দিকে, তুতেনখামেন আদতে পুরোহিততন্ত্রের হাতের পুতুল ছিলেন বলেই ইতিহাসবিদদের একাংশের দাবি। অনেকে মনে করেন, গুপ্তহত্যার শিকার হয়েছিলেন কিশোর ফারাও।
সূত্র : আনন্দবাজার পত্রিকা

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..
© All rights reserved © 2021 SomoyerKonthodhoni
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com