নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে যুবলীগ ও ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষ ও গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে। এ সময় বিল্লাল নামের এক রেস্তোরাঁর বাবুর্চি গুলিবিদ্ধসহ উভয় পক্ষের আরো ১০ জন আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে।
মঙ্গলবার রাতে উপজেলার তারাব পৌরসভার বরপা বাসস্টেশন এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে ঢামেক হাসপাতাল পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ (পরিদর্শক) মো: বাচ্চু মিয়া জানান, বিল্লাল নামে এক যুবক গুলিবিদ্ধ হয়েছে। তবে তার অবস্থা আশঙ্কামুক্ত। ঘটনাটি রূপগঞ্জ থানা পুলিশকে জানানো হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয়রা জানান, মঙ্গলবার বিকেলে তারাব পৌরসভার বরপা বাসস্টেশন এলাকায় সিফাত নামের এক ছাত্রলীগ কর্মী মোটরসাইকেল চালাতে গিয়ে প্রাইভেট কারের সাথে লেগে সড়কে পড়ে যায়। এ সময় তাদের মাঝে বাগবিতণ্ডা হয়। পরে প্রাইভেট কার চালকের পক্ষে তারাব পৌর যুবলীগের ত্রাণ বিষয়ক সম্পাদক বায়েজিদ সাউদ ও বাইক চালকের পক্ষে উপজেলা ছাত্রলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি তানজির আহমেদ রিয়াজের লোকজন তর্ক-বিতর্কে জড়িয়ে পড়েন। পরে দুই পক্ষের লোকজন দেশীয় অস্ত্রেসস্ত্রে সজ্জিত হয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন।
এ সময় এক পক্ষ আরেক পক্ষকে লক্ষ্য করে গুলি ছুঁড়েন। গোলাগুলির একপর্যায়ে রেস্তোরাঁর বাবুর্চি বিল্লাল গুলিবিদ্ধ হন।
এ বিষয়ে পৌর যুবলীগের ত্রাণ বিষয়ক সম্পাদক বায়েজিদ সাউদ বলেন, সিফাতের বাইক শ্রমিকলীগ নেতা মোহাম্মদ আলীর প্রাইভেট কারে লেগে যায়। মোহাম্মদ আলী আমাকে জানালে আমি ঘটনাস্থলে এসে আপসের চেষ্টা করি। এ সময় ছাত্রলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি তানজির এসময় রেস্তোরাঁর বাবুর্চি গুলিবিদ্ধ হয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে উপজেলা ছাত্রলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি তানজির আহমেদ রিয়াজের মোবাইল ফোনে একাধিকবার ফোন দিলেও তিনি কল রিসিভ করেননি।
রূপগঞ্জ থানার পরিদর্শক তদন্ত আতাউর রহমান বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। পরে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।