অন্য ভাষায় :
বৃহস্পতিবার, ০৭:০৮ অপরাহ্ন, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
নোটিশ :
মানব সেবায় নিয়োজিত অলাভজনক সেবা প্রদানকারী সংবাদ তথ্য প্রতিষ্ঠান।

ভিসিভি ভ্যাকসিনের ৩য় ও ৪র্থ ডোজ প্রদান শুরু হবে এ সপ্তাহেই : স্বাস্থ্যমন্ত্রী

ডেস্ক রিপোর্ট:
  • আপডেট টাইম : সোমবার, ২৯ মে, ২০২৩
  • ৪০ বার পঠিত

 

স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, কোভ্যাকস ফ্যাসিলিটির মাধ্যমে ৩০ লাখ ডোজ ভিসিভি (ভ্যারিয়েন্ট কন্টেয়নিং ভ্যাকসিন) হাতে পাওয়া গেছে। এই ভ্যাকসিনের তৃতীয় ও চতুর্থ ডোজ এ সপ্তাহ থেকেই দেশের টিকাদান কেন্দ্রগুলো থেকে দেয়া শুরু হবে।

আজ সোমবার সচিবালয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে ফাইজার-ভিসিভি কোভিড-১৯ টিকাদান কার্যক্রম শুরু সংক্রান্ত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি একথা বলেন।

জাহিদ মালেক জানান, কোভিড মোকাবিলায় বিশ্বের অন্যান্য দেশের ন্যায় বাংলাদেশও সফলভাবে ভ্যাকসিন প্রদান করেছে। গোটা বিশ্বে যত ভ্যাকসিন পেয়েছে, তার ১১ ভাগ ভ্যাকসিন বাংলাদেশ পেয়েছে। ওই ভ্যাকসিন থেকে দেশের মোট জনগোষ্ঠীর ৮৮.৫১ ভাগ মানুষকে প্রথম ডোজ, ৮২.১৮ ভাগ মানুষকে দ্বিতীয় ডোজ, ৩৯.৬২ ভাগ মানুষকে তৃতীয় ডোজ এবং ১.৮৫ ভাগ মানুষকে চতুর্থ ডোজ টিকা ইতোমধ্যেই দেয়া হয়েছে।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানান, এই ভিসিভি ভ্যাকসিন ব্যবহারে কোন পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া নেই এবং এটির ব্যবহারে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাসহ অন্যান্য সংস্থার ইতিবাচক মতামত রয়েছে।

তিনি বলেন, তৃতীয় ডোজ পাবে ১৮ বছর বা তদুর্দ্ধ ব্যক্তি, চতুর্থ ডোজ পাবে ৬০ বছর বা তদুর্দ্ধ বয়সী জনগোষ্ঠী বা দীর্ঘ মেয়াদি রোগে আক্রান্ত ১৮ বছর বা তদুর্দ্ধ ব্যক্তি, গর্ভবতী মহিলা এবং সম্মুখসারীর যোদ্ধারা। তৃতীয় ডোজ দেয়া হবে দ্বিতীয় ডোজ টিকা প্রাপ্তির চার মাস পর, চতুর্থ ডোজ পাবেন তৃতীয় ডোজ প্রাপ্তির চার মাস পর।

সংবাদ সম্মেলনে ডেঙ্গু প্রসঙ্গে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানান, দেশে ও আশপাশের দেশে ডেঙ্গু প্রাদুর্ভাব বৃদ্ধি পেয়েছে। এ বিষয়ে আমাদের অধিদফতর যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। জানুয়ারি থেকে ২৮ মে পর্যন্ত এক হাজার ৭০৪ জন ডেঙ্গু রোগী পেয়েছি। এ সময়ে ১৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। আমরা যদি গত বছরের তুলনা করি, এ বছর রোগীর সংখ্যা প্রায় পাঁচগুণ। অর্থাৎ অনেক রোগী বৃদ্ধি পেয়েছে।

ডেঙ্গু রোধে পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে দাবি করে জাহিদ মালেক বলেন, আমাদের হাসপাতালের পরিচালকদের সাথে ডিজির (স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক) বৈঠক হয়েছে, হাসপাতালে যেন প্রস্তুতি থাকে। আমাদের ডাক্তার-নার্সদের ট্রেনিংয়ের ব্যবস্থা করা হয়েছে। ডেঙ্গুবিষয়ক সার্ভে চলমান রয়েছে। রিপোর্ট দুই সিটি করপোরেশনকে দিয়েছি।

তিনি বলেন, হাসপাতালে যেহেতু রোগী বাড়ছে, সেহেতু এ বিষয়ে আমরা পদক্ষেপ নিচ্ছি। ডেঙ্গু রোগীদের জন্য হাসপাতালে আলাদা ওয়ার্ড এবং আলাদা কর্নার তৈরি করা হয়েছে। বছরখানেকের মধ্যে আমরা আড়াই হাজার ডাক্তার এবং নার্সকে ট্রেনিং দিয়েছি।

জাহিদ মালেক বলেন, জনগণকে সচেতন করার জন্য আমরা বিভিন্ন মহলকে যুক্ত করেছি। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক আছেন, ছাত্র-ছাত্রী আছেন, তাদের মাধ্যমে এটা প্রচার করা হচ্ছে। সেনাবাহিনীর সদস্যদেরও যুক্ত করা হয়েছে, যারা জনগণকে সতর্ক করতে পারে, কিভাবে ডেঙ্গু থেকে বাঁচা যায়, মশার কামড় থেকে বাঁচা যায় এবং ডেঙ্গু হলে তাড়াতাড়ি চিকিৎসা নেয়া আহ্বান জানান তিনি।

এ সময় স্বাস্থ্য অধিফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাশার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম, অতিরিক্ত সচিব (হাসপাতাল) নাজমুল হক খান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। সূত্র : বাসস

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..
© All rights reserved © 2021 SomoyerKonthodhoni
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com