বিএনপি নেতা তাবিথ আউয়ালের ওপর হামলা ঘটনায় রাজধানীর বনানী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার (ওসি) নূরে আজমসহ ১৬ জনের বিরুদ্ধে করা মামলার খারিজ করে দিয়েছেন আদালত।
মঙ্গলবার ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো: আছাদুজ্জামান মামলা গ্রহণের মতো কোনো উপাদান না থাকায় তা খারিজ করে দেন। এর আগে সোমবার ঢাকা মহানগর দায়রা জজ মো: আছাদুজ্জামানের আদালতে তাবিথ আউয়াল মামলার আবেদন করেন।
এতে ২০১৩ সালের নির্যাতন এবং হেফাজতে মৃত্যু (নিবারণ) আইনের ধারা ১৩-এর (১), (২)-এর খ ও গ ধারায় অপরাধ আমলে নেয়ার আবেদন করা হয়।
তাবিথ আউয়ালের পক্ষে আইনজীবী এ এম মাহবুব উদ্দিন খোকন ও মাসুদ আহমেদ তালুকদার শুনানি করেন। সাথে ছিলেন আইনজীবী মো: আক্তারুজ্জামান, মোসলেহ উদ্দিন জসিম, এ কে এম এহসানুর রহমান প্রমুখ।
মামলার আবেদনে যাদের আসামি করার আর্জি জানানো হয়- ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি কাদের খান, বনানী থানা আওয়ামী লীগের সাবেক সহ-সভাপতি জসিম উদ্দিন, সাবেক সাধারণ সম্পাদক মীর মোশাররফ হোসেন, বনানী থানা স্বেচ্ছাসেবক লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আমজাদ হোসেন, বনানী থানা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও ১৯ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর মফিজুর রহমান, সহ-সভাপতি ও ২০ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর নাছির, শ্রমিক লীগ কর্মী বাবু, শফিক, বনানী থানার যুবলীগ কর্মী শ্যামল, দোলন, রনি, ববি, সাগর, মামুন এবং ফারুক।
এছাড়া আরো ২০০ থেকে ৩০০ জনকে অজ্ঞাতপরিচয় আসামি করার আবেদন হয়েছে। এছাড়া বনানী থানার আরো ২০ থেকে ৩০ জন পুলিশ সদস্যকেও অজ্ঞাতপরিচয় আসামি করা হয়।
মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, বিদ্যুৎসহ নিত্য প্রয়োজনীয় সব পণ্যের মূল্য বাড়ানোসহ দলীয় তিন নেতার নিহত হওয়ার প্রতিবাদে ১৭ সেপ্টেম্বর গুলশান ২-এর গোলচত্বরে মোমবাতি প্রজ্জ্বলন কর্মসূচি পালন করে বিএনপি। ওই সময় কর্মসূচিতে আওয়ামী লীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ ও যুবলীগের নেতাকর্মীরা হামলা করেন। ওই সময় বাদি বিএনপির নির্বাহী কমিটি সদস্য তাবিথ আউয়াল শান্তিপূর্ণ মোমবাতি প্রজ্জ্বলন কর্মসূচির নিশ্চিতের জন্য বনানী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে অনুরোধ করেন। কিন্তু আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কোনো পদক্ষেপ নেয়নি। এরপর আওয়ামী লীগের হামলায় তাবিথ আউয়ালসহ বিএনপির অনেকে গুরুতর আহত হয়। এ অভিযোগে মামলার আবেদন করা হয়।
গত ১৭ সেপ্টেম্বর রাজধানীর বনানীতে প্রতিবাদ কর্মসূচি পালনকালে হামলায় বিএনপির নির্বাহী কমিটি সদস্য তাবিথ আউয়াল ছাড়াও দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য বেগম সেলিমা রহমান, যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ গুরুতর আহত হন। পরে তাদের ইউনাইটেড হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হয়।