দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে ছড়িয়ে পড়া করোনার নতুন উপধরন আরও বেশি সংক্রামক হতে পারে, যে কারণে আমাদের স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার বিকল্প নেই বলে সতর্ক করেছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
আজ বুধবার দুপুরে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর আয়োজিত করোনা পরিস্থিতি নিয়ে ভার্চুয়াল বুলেটিনে সংস্থাটির মুখপাত্র অধ্যাপক ডা. নাজমুল ইসলাম এ তথ্য জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, ওমিক্রনের নতুন যে ভ্যারিয়েন্টটি দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে এসেছে, তারও একটি সাব-ভ্যারিয়েন্ট বিশ্বের ৫৭টি দেশে শনাক্ত হয়েছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ইতোমধ্যে বিভিন্ন গবেষণাকে উদ্ধৃত করে জানিয়েছে, এই সাব-ভ্যারিয়েন্টটি কিন্তু আগের তুলনায় বেশি সংক্রমক হতে পারে। বেশি সংক্রমক হলে ক্ষতি করার সম্ভাবনাও বেড়ে যায়। কাজেই আমাদের আত্মতুষ্টির কোনো সুযোগ নেই। রোগীর সংখ্যা কোনোভাবেই যাতে না বাড়ে সে জন্য আমাদের স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলাসহ দায়িত্বপূর্ণ আচরণ করতে হবে।
তিনি আরও বলেন, সংখ্যার বিচারে রোগীর সংখ্যা বেড়েছে এবং রোগীর সংখ্যা ক্রমাগত বাড়তে থাকলে পুরো স্বাস্থ্য ব্যবস্থার ওপর চাপ সৃষ্টি করবে।
ডা. নাজমুল বলেন, করোনায় আক্রান্ত হয়ে যারা মারা গেছেন, তাদের ভেতরে কারা ভ্যাকসিন পেয়েছেন এবং কারা ভ্যাকসিন পাননি সেই সম্পর্ক খুঁজে বের করার চেষ্টা অনেক দিন ধরেই চলছে। জানুয়ারির ১ তারিখ থেকে ৩১ তারিখ পর্যন্ত মোট যে মৃত্যু আমরা দেখেছি, তাতে প্রায় ৭৩ শতাংশ মানুষ ভ্যাকসিন গ্রহণ করেননি এবং মৃত্যুবরণ করেছেন। বাকিরা ভ্যাকসিন পেয়েছেন। প্রথম ডোজের ভ্যাকসিন পেয়েছিলেন ১৮ জন এবং দ্বিতীয় ডোজের ভ্যাকসিন পেয়েছেন ৬১ জন।
সবচেয়ে বেশি মারা গেছেন ঢাকা বিভাগে। ১৯ জন মারা গেছেন এখানে। এ পর্যন্ত ১২ হাজার ৪৫১ জন মারা গেছেন। শতকরা হিসেবে যা ৪৩ শতাংশের বেশি। হাসপাতালগুলোতে আগের তুলনায় রোগীর সংখ্যা বেড়েছে। রোগীর সংখ্যা যখন বাড়ে সামগ্রিকভাবে আইসিইউ-এইচডিইউ এবং অক্সিজেন সরবরাহের ওপর চাপ সৃষ্টি হয়, বলেন তিনি।