‘মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের উপদেষ্টা’ দাবি করা ব্যক্তি সম্পর্কে রোববার (২৯ অক্টোবর) পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, কোনো ব্যক্তি সহিংসতার আহ্বান জানালে অবিলম্বে তাকে গ্রেফতার করা উচিৎ, সে যে দেশেরই হোক না কেন।
মিয়া জাহিদুল ইসলাম আরেফির বিষয়ে তার কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমার ব্যক্তিগত মতামত হলো যেই সহিংসতার আহ্বান জানায়, তাকে গ্রেফতার করা উচিৎ। আমি সংশ্লিষ্ট বিভাগের কর্মকর্তাদের সাথে কথা বলব।’
রাজারবাগ পুলিশ হাসপাতালে আহতদের দেখার পর সাংবাদিকদের সাথে কথা বলার সময় মোমেন এসব কথা বলেন।
আরেফি নিজেকে ‘মার্কিন প্রেসিডেন্টের উপদেষ্টা’ হিসেবে পরিচয় দিয়েছিলেন এবং গতকাল শনিবার তিনি বিএনপির সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, যে দলের নেতাকর্মীরা পুলিশ সদস্যদের ওপর হামলা করেছে, তাদের লজ্জিত হওয়া উচিৎ। ‘এটা খুবই দুর্ভাগ্যজনক। তাদের প্রকাশ্যে ক্ষমা চাওয়া উচিৎ।’
মোমেন বলেন, নিরাপত্তাকর্মীদের ওপর এ ধরনের হামলা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। ‘তাদের (হামলাকারীদের) দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেয়া উচিৎ, যাতে কেউ এই ধরনের হামলার পুনরাবৃত্তি করতে সাহস না পায়।’
আরেফি সম্পর্কে কথা বলতে গিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, মার্কিন প্রেসিডেন্ট বাইডেন বোকা নন, যে এই ধরনের লোককে এখানে পাঠাবেন। ‘আমি এটা বিশ্বাস করি না।’
জো বাইডেনের উপদেষ্টা’ হিসেবে পরিচয় দেয়া মিয়া আরেফিকে বিএনপি নেতারা ঢাকায় দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে নিয়ে আসেন এবং একটি সংবাদ সম্মেলন করেন।
যেখানে আরেফি বিএনপি ও জামায়াতকে ‘বাংলাদেশে সরকারব্যবস্থার পরিবর্তন নিশ্চিত করতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সমর্থনের’ আশ্বাস দেন।
ঢাকায় মার্কিন দূতাবাস বলেছে, দূতাবাসের কোনো আন্দোলনের গুজব সম্পূর্ণ ‘মিথ্যা ও ভুল’।
একটি ভিডিওর দিকে মার্কিন দূতাবাসের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে দূতাবাসের মুখপাত্র বলেন,‘এই ভদ্রলোক মার্কিন সরকারের পক্ষে কথা বলার মতো কেউ নন, তিনি ব্যক্তিগতভাবে কথা বলেছেন।’
পল্টনে বিএনপির কার্যালয়ে ঢাকা সিটির সাবেক মেয়র সাদেক হোসেন খোকার ছেলে বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেনের সাথে বসে আরেফি কথা বলেছেন। এ সময় তিনি দাবি করেন, মার্কিন প্রেসিডেন্ট তত্ত্বাবধায়ক সরকার পুনঃপ্রতিষ্ঠার সম্পূর্ণ পক্ষে।
বাইডেন ছাড়াও আরেফি মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্ট এবং বাংলাদেশে দূতাবাসের কর্মকর্তাদের সাথে তার প্রাত্যাহিক যোগাযোগের বিষয়ে কথা বলেছেন। তিনি দাবি করেন, মার্কিন সরকারের সব গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি বিরোধীদের আন্দোলনকে সমর্থন করে।
সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে দেখা যায়, দলীয় নেতারা বিএনপি অফিসে বসে থাকা আরেফিকে ঘিরে রেখেছেন।
বিএনপি ও জামায়াতপন্থীরা দাবি করেছেন, সরকার উৎখাতের জন্য ‘বাইডেন এর পক্ষ থেকে’ তাদের সমর্থন জানানোর জন্য বিএনপির দলীয় কার্যালয়ে এসেছিলেন আরেফি।
সূত্র : ইউএনবি